লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণার পর থেকেই উত্তপ্ত ভাটপাড়া। ভাটপাড়া উপনির্বাচনের দিনও গেরুয়া শিবিরের হামলায় বদলে গিয়েছিল কাঁকিনাড়া-সহ গোটা ভাটপাড়ার চেনা চেহারা। জারি হয়েছিল কার্ফুও। আবার বিগত কয়কেদিন ধরে ফের সংঘর্ষ চলছে ভাটপাড়ায়। ভাটপাড়াতে লাগাতার বিজেপির এই সংঘর্ষের প্রতিবাদে সরব হলেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছেন, ভাটপাড়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনবে মমতার সরকার।
রবিবার ফিরহাদ বলেন,‘গোটা রাজ্য যদি ভাটপাড়া হয়ে যায় তাহলে আমরা থাকব কোথায়? ভাটপাড়াকে আমরা নন্দীগ্রাম হতে দেব না’। ভাটপাড়া নিয়ে যাবতীয় যথাযথ পদক্ষেপের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। যেভাবে লাগাতার বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে তার কড়া নিন্দা করেন মেয়র।
সম্প্রতি বিদ্যাসাগর কলেজে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার পর মূর্তির পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেলে নিজের ছবির পরিবর্তে মনীষীদের ছবির কোলাজ লাগিয়ে দেন। আজও তা রয়েছে। তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর থেকে গোটা কলকাতা জুড়ে মনীষীদের ছবি দিয়ে হোর্ডিং দেওয়া হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে— ‘বাংলা মোদের গর্ব, জয় বাংলা’। এই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান নিয়ে মমতা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ যদি এই স্লোগান দিতে পারে, তাহলে আমরা পারব না কেন? এটি লিখেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম।’
গতকালই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের তিরোধান দিবসে কেওড়াতলা শ্মশানে গিয়ে ফিরহাদ হাকিম শ্রদ্ধা জানান। তাঁর মূর্তিতে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে ফুলও দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন— সাংসদ মালা রায়, সন্দীপ বক্সী প্রমুখ। ফিরহাদ বলেন, ‘শ্যামাপ্রসাদের আদর্শের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য থাকলেও এ কথা জোর গলায় বলা যায় তিনি একজন বাংলার কৃতী সন্তান। তাঁর জন্য আমরা সত্যি গর্বিত। তাই তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে গেলাম।’ নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের বৈঠকে বারবার বলেছেন, মনীষীদের স্মরণ করতে হবে। তাঁদের ভুলে গেলে চলবে না। নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁদের আদর্শ তুলে ধরতে হবে।