ভোটের প্রচারে বাংলায় এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অভিযোগ করেছিলেন যে, সাইক্লোন ফণীর প্রকোপে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে চেয়ে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে তিনি বৈঠক করতে চেয়েছিলেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাতে আপত্তি তুলেছিলেন। আজ রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ খান জানালেন, ‘ফণী ঝড়ে কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি সাহায্য আসেনি।’ যার ফলে এদিন মোদীর দাবি যে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যে তা প্রমাণ হয়ে যায়।
ওড়িশার পাশাপাশি এ রাজ্যেও আশঙ্কা ছিল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণীর আছড়ে পড়ার। আগাম সতর্কতার জন্য ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকাগুলি ছাড়া অন্যান্য জায়গায় খুব একটা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। যা প্রশংসিত হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জে। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের ভূমিকার প্রশংসা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদীও। ওড়িশায় গিয়ে রাজ্যের জন্য হাজার কোটি ঘোষণাও করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, বাংলার উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোয় প্রায় ৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হলেও আসেনি কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো সাহায্য। এদিন বিধানসভায় এমনটাই দাবি করেছেন মন্ত্রী জাভেদ খান।