লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির। দিকে দিকে চলছে গেরুয়া সন্ত্রাস, তৃণমূল নেতাদের ঘরছাড়া করার হুমকি, খুন। তবে এবার তৃণমূল নেতাকে খুন করতে এসে চুঁচুড়ায় শ্যুটআউটে মৃত্যু হল এক কুখ্যাত দুষ্কৃতি হাতকাটা মুন্নার(৩৬)। অভিযোগ, বিজেপির নির্দেশেই তৃণমূল নেতাকে খুন করতে এসেছিল সে।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চুঁচুড়ার বড়বাজার এলাকায়। জানা গেছে, গতকাল রাতে বড়বাজারের আজাদ হিন্দ ক্লাবে হঠাৎ করেই হানা দেয় আটজনের এক দুষ্কৃতিদল। প্রসঙ্গত, ওই ক্লাবে তৃণমূল সমর্থকদেরই ওঠাবসা। ক্লাবে থাকা তৃণমূল নেতা বিজয় কাহার এর বক্তব্য তাকেই খুন করতে আসে ওই দুষ্কৃতী দল।
অভিযোগ, তারা ক্লাবে প্রবেশ করেই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। বিজয় কাহার-সহ ক্লবে থাকা অন্যান্যরা কোনোক্রমে এদিকে ওদিকে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান। গুলির শব্দ থেমে যেতে এলাকাবাসীরা বাইরে বেরোলে দেখতে পান ক্লাবের সামনের রাস্তায় ওই যুবকের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। পরে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পাঠায়। কেন এই ঘটনা ঘটল সে বিষয়েও চলছে তদন্ত। ঘটনাস্থল থেকে দুটো কার্তুজের খোলা উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ সূত্রেই জানা যায়, ওই মৃত যুবক হাতকাটা মুন্না। সে চুঁচুড়ার সমাজবিরোধী বলেই পরিচিত। ২০১১ সালের আগে হাতকাটা মুন্না সিপিএমের হার্মাদ হিসাবে পরিচিত ছিলো। ১১ সালে রাজ্য পালা বদলের পর থেকে মুন্না গা ঢাকা দেয়। তবে এবারের লোকসভা ভোটে হুগলী কেন্দ্রে বিজেপি জেতায় সে জার্সি বদলে আবার পুরনো কার্যকলাপ শুরু করেছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
ঘটনা প্রসঙ্গে বিজয় কাহারে জানিয়েছেন, ক্লাব দখলকে ঘিরে ঝামেলা বাঁধে। তাঁর অভিযোগ, ‘বিজেপির দুষ্কৃতীরা ক্লাব দখল করতে এসেছিল। আমাকেও মারার চেষ্টা করে। এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছে, পুলিশি নিরাপত্তা চাই।’