এর আগেও বহুবার তাঁর টুইট বা মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে একাধিক বিতর্ক। তবে তাতেও দমে যাননি তিনি। আগে ছিলেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল। এখন মেঘালয়ের। কিন্তু তবুও আলটপকা মন্তব্য বা বাঙালি বিরোধীতা থেকে সরে আসেননি তথাগত রায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। এবার তিনি আপত্তি তোলা শুরু করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা প্রচারিত ‘জয় বাংলা’ স্লোগান নিয়ে। তাঁর দাবি, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া ইচ্ছাকৃত দেশদ্রোহীতার সমান!
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি লোকসভায় শপথ নেওয়ার সময় একাধিকবার ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানের পাল্টা ‘জয় বাংলা’ ও ‘জয় মা কালী’ স্লোগান দিতে শোনা যায় তৃণমূল সাংসদদের। এতেই আপত্তি জানিয়ে তথাগতর দাবি, এই স্লোগান দেওয়া নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে দেশদ্রোহীতা করারই সামিল! এই নিয়ে ফেসবুকে তিনি লেখেন, “লোকসভায় কিছু সদস্যদের ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া নিয়ে আমি দুশ্চিন্তায় রয়েছি। এই স্লোগান বাংলাদেশের। যারা এই স্লোগান দিয়েছেন যারা তারা ‘গড সেভ দ্য কুইন’ অথবা ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগানও তুলতে পারেন। এটি কি বাংলা উপ-জাতীয়তাবাদকে প্রচার করার একটা প্রচ্ছন্ন প্রচেষ্টা?”
এখানেই না থেমে তিনি আরও লেখেন যে, “জয় পশ্চিমবঙ্গ স্লোগান কখনই দেওয়া হবে না। কারণ যারা এই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিচ্ছেন তারা ভুলে যেতে চান যে পশ্চিমবঙ্গ সৃষ্টি করা হয়েছিল যাতে হিন্দু বাঙালিরা বাঙালি এবং ভারতীয় হিসেবে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে।” স্বাভাবিকভাবেই তথাগতর এই মন্তব্য ঘিরে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। তথাগতর বিরোধীতা করতে পিছুপা হয়নি তৃণমূলও। প্রসঙ্গত, রাজনীতির আঙিনায় রাজ্যপালের পদ সমস্ত দলীয় রাজনীতির উর্ধ্বে থাকার কথা। কিন্তু তথাগত রায়ের ক্ষেত্রে সে কথা বারবারই বদলে গেছে।
রাজ্যপালের আসনে বসার পরেও বারবারই বিজেপি নেতাদের মতোই আচরণ করেছেন তিনি। তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলেও হামেশাই দেখা যায় এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যঙ্গ করে লেখা একাধিক পোস্টকে রিটুইট করতে। কিন্তু বারবার সংবিধান বিরোধী কার্যকলাপ করলেও কখনও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। একটি রাজ্যের সাংবিধানিক অভিভাবকের পদে থেকেও আলটপকা মন্তব্য করে বারবার শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। দিনকয়েক আগেও পাঠ্যক্রমে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার স্বপক্ষে বলতে গিয়ে তথাগত এই মন্তব্য করে বসেন যে, ‘বাঙালি মেয়েরা মুম্বইতে বার-ডান্স করতে পারলে হিন্দি শিখতে আপত্তি কীসের?’ যা নিয়েও দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছিল।