এবার রোগীর বাড়ির লোকের সুবিধার জন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণ করল রাজ্য সরকার। রোগীর স্বাস্থ্যের খবর জানতে মরিয়া হন তাঁর পরিজনরা। কিন্তু বড় সরকারি হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে সঠিক তথ্য পেতে হয়রান হয়ে তাঁদের সব ক্ষোভ গিয়ে পড়ে হাতের নাগালে থাকা জুনিয়র ডাক্তারদের উপর। সমস্যা নিরসনে তাই তাঁদের সঙ্গে নবান্নের বৈঠকেই সোমবার জনসংযোগ আধিকারিক (পিআরও) নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জন্য ৪ জন করে জনসংযোগ আধিকারিক নিয়োগ করতে চলেছে স্বাস্থ্য দফতর।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যভবনে হাসপাতাল কর্তাদের সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষকর্তাদের হওয়া বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হয়েছে আউটডোর ও ইমার্জেন্সির মানোন্নয়ন নিয়েও একগুচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রদবদল করা হয়েছে কয়েকটি হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতিতেও।
বুধবার স্বাস্থ্যভবনে বৈঠক শেষে স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র জানান, “৫৬ জন জনসংযোগ আধিকারিক নিয়োগ করা হচ্ছে রাজ্যের ১৪টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জন্য। গ্রিভান্স বক্সের পাশাপাশি সব হাসপাতালে দিনরাত চালু থাকবে সুসংহত গ্রিভান্স সেলও যাতে সহজে রোগী-পরিজন অভিযোগ জানাতে পারেন। এতে আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা কমবে বলে মনে হয়।”
এক হাসপাতাল কর্তা জানান, এ দিনের বৈঠকে তিনটি নতুন কমিটি গঠন করার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একটি কমিটি দেখবে ইমার্জেন্সি পরিষেবার মানোন্নয়ন। কোনোরকম আপৎকালীন পরিস্থিতিতে জরুরি, এমন চিকিৎসা সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতির সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি দেখবে দ্বিতীয় কমিটি। আর তৃতীয় কমিটির কাজ হবে আউটডোর পরিষেবার মানোন্নয়ন। আউটডোরের ভিড় সামলানো এবং দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা সহজে যাতে প্রয়োজনীয় বিভাগে ডাক্তার দেখাতে পারেন, তার ব্যবস্থাও পাকা করবে ওই কমিটি।