এবার হয়তো মৎস্যজীবীদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে জলের রুপোলি শস্য। কারণ মরসুমের প্রথম দফাতেই সমুদ্র থেকে প্রায় খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে দিঘা উপকূলবর্তী মৎস্যজীবীদের।
৬১ দিনের ‘ব্যান পিরিয়ড’ শেষ হওয়ার পর গত ১৪ জুন সমুদ্রে ইলিশ ধরতে বেরিয়েছিল প্রচুর ট্রলার। মৎস্যজীবীরা আশা করেছিলেন এবার পর্যাপ্ত ইলিশ উঠবে। কিন্তু তা না হওয়ায় হতাশ ট্রলার মালিক ও মৎস্যজীবীরা। প্রথম দফায় মাছ ধরতে যাওয়া অধিকাংশ ট্রলার ফিরে এলেও কার্যত দেখা নেই রুপোলি শস্যের। ফলে বাজারে চাহিদা থাকলেও জোগানে টান পড়ায় ইলিশ এখন বাজারে মহার্ঘ।
দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে বলা হয়েছে, “বৃহস্পতিবার দিঘায় ফিরেছে প্রায় দেড়শো ট্রলার। সব মিলিয়ে প্রায় চারশ টন সামুদ্রিক মাছ নিয়ে এসেছে ট্রলারগুলি। যার মধ্যে ইলিশ রয়েছে মাত্র ৪০০ কিলোগ্রাম।” মৎস্যজীবীদের দাবি, গত বছর মরসুমের শুরুতে ইলিশের এই পরিমাণটা ছিল প্রায় দেড় টন। সেই অর্থে এবার এটাকে ইলিশের সঙ্কটই বলা যায়।
পরিমাণ কমার পাশাপাশি, আকারেও এবার ইলিশ হতাশ করেছে মৎস্যজীবীদের। এবার দিঘায় ওঠা ইলিশের গড় সাইজ ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রাম। এক কিলোগ্রাম বা তার বেশি ওজনের ইলিশ কার্যত অদৃশ্য। তবে ইলিশের এই ঘাটতি কিছুটা পূরণ করেছে পমফ্রেট।
মরসুমের শুরুতেই ইলিশের এমন আকাল কেন? দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, “এখনও পূবালী হাওয়া ও ইলশেগুড়ি বৃষ্টির দেখা নেই। তার উপর চড়া রোদ ও প্রচণ্ড গরম। সমুদ্রে ইলিশের উপযুক্ত পরিবেশ এখনও নেই। তাই ইলিশের দেখা মিলছে না।” তবে আশার বাণীও শোনাচ্ছেন তাঁরা। বৃষ্টি নামলেই ফের আগের মতো ইলিশ মিলবে, এমনটাই জানাচ্ছেন তাঁরা। তাই এই অবস্থায় ট্রলার মালিক থেকে মৎস্যজীবী, মৎস্যপ্রেমী সকলেই তাকিয়ে বৃষ্টির দিকে।