সাব্বির রহমানের একটা ক্যাচ মিসই হয়তো শেষ করে দিল বাংলাদেশের বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল খেলার আশা। ডেভিড ওয়ার্নার ক্রিজে সেট হননি তখনও, সেসময় তাঁর একটি ক্যাচ তালুবন্দি করার সুযোগ পেয়েছিলেন সাব্বির। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। সেই ক্যাচ মিসটাই বোধহয় কাল হল বাংলাদেশের। ওই ক্যাচ মিস হওয়ার পর ১৬৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন ওয়ার্নার। তাঁর রেকর্ড-ভাঙা ইনিংসই শেষ পর্যন্ত হারিয়ে দিল বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রাণপন চেষ্টা করেও, অজিদের দেওয়া ৩৮২ রানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারল না বাংলার বাঘরা। এদিন বাংলাদেশকে হারতে হলো ৪৮ রানের ব্যবধানে।
ট্রেন্ট ব্রিজের ব্যাটিং সহায়ক পিচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। দুই ওপেনার ওয়ার্নার এবং স্বয়ং ফিঞ্চ প্রথম উইকেটের জুটিতেই ১২১ রান তুলে দেন। ফিঞ্চ ৫৩ রানে আউট হলেও ওয়ার্নার বাংলাদেশি বোলারদের একের পর এক চার-ছক্কা হাঁকাতে থাকেন। তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে আসা উসমান খোয়াজাও দুর্দান্ত অর্ধশতরান করেন। শেষ বেলায় মাত্র ১০ বলে ৩২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন ম্যাক্সওয়েল।
এদিন ট্রেন্ট ব্রিজে জীবনের অন্যতম সেরা ইনিংস খেলে একাধিক রেকর্ড গড়লেন ওয়ার্নার। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে দুটি দেড়শোর বেশি রানের ইনিংস খেললেন তিনি। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৬ টি আলাদা আলাদা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দেড়শোর বেশি রান করলেন ওয়ার্নার। এটিই বিশ্বকাপে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর। তাঁর সেই বিধ্বংসী ইনিংসের জেরে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৮১ রান করে অজি ব্রিগেড।
তবে ৩৮২ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্র নিয়ে খেলতে নেমেও দুর্দান্ত লড়াই দিল বাংলা টাইগাররা। এক মুহূর্তের জন্যও অজিদের স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে দিলেন না তামিম, মুশফিকুর, মহম্মদুল্লাহরা। শুরুটা করেছিলেন তামিম। তিনি খেলেন ৬২ রানের ইনিংস। তারপর শেষ অবধি ক্রিজে টিকে থেকে দুর্দান্ত শতরান করেন মুশফিকুর তাঁর সংগ্রহ ১০২ রান। ৬৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন মহম্মদউল্লাহও। কিন্তু, এতকিছুর পরেও শেষরক্ষা হল না টাইগারদের। তাদের ইনিংস শেষ হল ৩৩৩ রানে। যা বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এই হারের ফলে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের লড়াই থেকে কার্যত ছিটকে গেল বাংলাদেশ।