সিভিক পুলিশের পর নিয়োগ করা হয়েছিল সিভিক টিচার। এবার গোয়েন্দা বিভাগে সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এক বিজ্ঞপ্তিতে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, “৫,২৮৫ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে গোয়েন্দা বিভাগে কাজে লাগানো হবে। তবে এর জন্য নতুন করে নিয়োগ হবে না। গোয়েন্দা বিভাগে এই পদ সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে সমসংখ্যক পদ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে সাধারণ সিভিক ভলেন্টিয়ার পদ থেকে।”
২০১৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৈরি হয় সিভিক ভলান্টিয়ার পদ। এই মুহূর্তে রাজ্যে ১ লক্ষ ২৫ হাজার ১০০ জন সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছেন। এর মধ্যে ৫,২৮৫ জনকে গোয়েন্দা বিভাগে কাজে লাগানো হবে বলে নোটিশ জারি করা হয়েছে। বাকি ১,১৯,৮১৫ জন জেলায় জেলায় বিভিন্ন কমিশনারেট ও জেলা পুলিশের আওতায় থাকবে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের ডিজিকে এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। নবান্ন সূত্রের দাবি, রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় যে ভাবে গোলমাল লেগে চলেছে তা রুখতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পুলিশের কাছে আগাম খবর না থাকায় অনেক গোলমালই যথাযথ সময়ে প্রতিহত করা যায়নি। আর এটা হয়েছে গোয়েন্দা বিভাগে কম কর্মী থাকার কারণে। এবার সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের ফলে গ্রামাঞ্চল ও মফস্বলে গোয়েন্দা বিভাগ শক্তিশালী হবে। যার ফলে পুলিশের পক্ষেও যে কোনও অঘটন সম্পর্কে আগাম খবর থাকার সম্ভাবনা তৈরি হবে এবং তা রুখে দেওয়া যাবে।
তবে ইতিমধ্যেই বিরোধীরা রাজ্য সরকারের এই অভিনব উদ্যোগ নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে ভয় পেয়ে এসব কাজ করছেন। সামনেই পুরসভা নির্বাচন। তার আগে জেলায় জেলায় বিরোধী দলের রাজনৈতিক খবরাখবর নিতে এই ক্যাডার বাহিনী নিয়োগ করছে তৃণমূল।” যদিও বিরোধীদের এই কটাক্ষকে আমল দিচ্ছে না রাজ্য সরকার।