বাংলায় বিজেপির তান্ডব অব্যাহত। তৃণমূল কার্যালয় ভাঙচুর করে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপি–র বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মুন্সি নজিবর রহমান। তিনি আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের মায়াপুর–১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের মুথাডাঙায়।
আরামবাগ হাসপাতালের বেডে শুয়ে নজিবর বলেন, “এদিন আমরা স্থানীয় কার্যালয়ে কর্মীদের সঙ্গে আগামী কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করছিলাম। তখনই বিজেপি আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী ওই কার্যালয়ে চড়াও হয়। কার্যালয়ের মধ্যে থাকা আসবাবপত্র এবং দলের অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। এরপর আমাদের মারধর শুরু করে। ওরা আমাকে ছাড়াও চারজনকে মারধর করেছে। তার মধ্যে আমাকে প্রথমে চড় মারে। তারপর ঘুষি। সবশেষে লাঠি ও রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এরপর দলের অন্যান্য কর্মীরা এসে পৌঁছে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরে দলেরই কর্মীরা আমাকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে”। নজিবরের দাবি, “ওরা সবাই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী”।
অন্যদিকে, খানাকুলের অনন্তনগরে শেখ ইন্তাজ আলি নামে এক তৃণমূল কর্মীকেও বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কল্যাণী শহরে পর পর তিনটি তৃণমূল কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। ভাঙচুরের পর কল্যাণী এলাকায় তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। এই ঘটনায় পুলিশ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। রানাঘাট জেলার পুলিশ সুপার অনন্তনাগ জানান, গন্ডগোলের জন্য মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের কল্যাণী শহর সভাপতি অরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “এ রকম তাণ্ডব কল্যাণী শহর আগে কখনও দেখেনি। কল্যাণী শহরে বাইক বাহিনী ঢুকে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে একের পর এক পার্টি অফিস ভাঙচুর করে। রাস্তার লাইট ভাঙচুর করা হয়। বুধবার রাত এগারোটা নাগাদ পার্টি অফিস থেকে বাড়ি ফিরি। পার্টি অফিসের কাছেই আমার বাড়ি। বাড়ির ভেতর থেকে ‘জয় শ্রীরাম’ শুনে বাইরে আসতে না আসতেই গোটা ত্রিশেক মোটর বাইক নিয়ে বিজেপি কর্মীরা পার্টি অফিস ভাঙচুর শুরু করে। এর পর টেলিফোন অফিসের সামনে থাকা পার্টি অফিসেও ভাঙচুর করা হয়”।