জাতপাত সমস্যা ক্রমশঃ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠছে গোটা দেশে। নিম্নজাতের মানুষকে মেরে ফেলার ঘটনা আকচার ঘটছে উত্তর প্রদেশ, রাজস্থানের মতো রাজ্যে। এবার ব্রাক্ষ্মণ না হওয়ায় খাবার জুটল না হিন্দু মন্দিরে। পরিবর্তে জুটল অপমান। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের উদুপির কৃষ্ণ মঠে। এই নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
মণিপালের সহকারী প্রফেসর বনিথা এন শেঠী গত ১৫ এপ্রিল উদুপি কৃষ্ণ মঠে গিয়েছিলেন। দুপুরের খাবার খেতে গিয়েছিলেন মঠের ভোজনশালায়। মহিলাকে খাবার দিতে গিয়ে মঠের এক শিষ্যের সন্দেহ হয়। তিনি হয়ত ব্রাক্ষ্মণ নন। প্রশ্ন করতেই মহিলাটি বলেন, এটা ঠিক যে তিনি ব্রাক্ষ্মণ নন। সঙ্গে সঙ্গে সেই শিষ্য ওই মহিলাকে ওখান থেকে উঠে যেতে বলেন। শিষ্যটি বলেন, এখানে ব্রাক্ষ্ণণদের খাওয়ার জায়গা। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে যাঁরা ব্রাক্ষ্মণ নন। তাঁদের খাওয়ার ব্যবস্থা। এই প্রস্তাবে মহিলাটি রাজি হননি। তিনি অপমানিত বোধ করেন। মঠ থেকে বেরিয়ে আসেন।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর নিন্দা শুরু হয়েছে। একজন মহিলার লাঞ্ছনা মেনে নিতে পারছেন না সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। তাঁরা মঠ কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠিও দিয়েছেন। কর্নাটক সরকারের তরফে বলা হয়েছে, “মঠের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরকার নাক গলাতে চায় না। তবে এই পদ্ধতি বন্ধ হওয়া দরকার।” মঠ কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা যাতে না ঘটে, সেদিকে নজর রাখা হবে।