মানা হলো না সাধ্বী প্রজ্ঞার অযৌক্তিক দাবি। মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় আদালতে সপ্তাহে একদিন হাজিরা দেওয়া থেকে পুরোপুরি অব্যাহতি চেয়েছিলেন সাধ্বী প্রজ্ঞা৷ যুক্তি দেখিয়েছিলেন, এখন তিনি সাংসদ৷ তাই সংসদের কাজে প্রতিদিন তাঁকে সেখানে থাকতে হবে৷ কিন্তু মুম্বইয়ের স্পেশাল এনআইএ আদালত সাধ্বীর কোনও দাবি মেনে নেয়নি৷ সাফ জানিয়ে দেয়, শুনানির সময় আদালতে তাঁকে হাজিরা দিতে আসতেই হবে৷
মালেগাঁও বিস্ফোরণে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বর্তমান বিজেপি সাংসদ এবং কট্টর হিন্দুত্ববাদী এই নেত্রীর বিরুদ্ধে৷ এর আগে দুটি শুনানির সময় তিনি আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি৷ এনআইএ আদালত সাফ জানিয়েছিল, সাধ্বীকে হাজিরা দিতেই হবে৷ সেই মতো নির্দেশ দেয় প্রতি সপ্তাহে আদালতে তাঁকে আসতে হবে৷
সদ্য ভোপাল থেকে নির্বাচিত হওয়া সাংসদ পাল্টা পিটিশন দিয়ে জানান, তাঁর পক্ষে প্রতি সপ্তাহে আদালতে হাজিরা দিতে আসা সম্ভব নয়৷ কারণ এখন সংসদের অধিবেশন শুরু হবে৷ সেখানে তিনি ব্যস্ত থাকবেন৷ তাছাড়া মুম্বইতে তাঁর কোনও থাকার জায়গা নেই৷ এদিকে সাংসদ হওয়ার পর তাঁকে সর্বক্ষণ নিরাপত্তা বলয়ে থাকতে হয়৷ নিরাপত্তা কর্মীদের নিয়ে সব জায়গায় ঘুরে বেড়ানোও অস্বস্তিকর৷ কিন্তু আদালত সাধ্বীর কোনও যুক্তি মানতে চায়নি৷ তবে এদিনের মতো তাঁকে আদালতে হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে ৷
২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মহারাষ্ট্রের মালেগাঁওয়ে একটি মসজিদের সামনে প্রবল বিস্ফোরণ ঘটে৷ তাতে মৃত্যু হয় ৬ জনের। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় ১০০ এর বেশি। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বিস্ফোরক মজুত মোটরবাইক মসজিদের সামনে রেখে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়৷ আর ওই মোটরবাইক প্রজ্ঞা ঠাকুরের নামে নথিভুক্ত করা ছিল বলে তদন্তকারীরা জানতে পারেন৷ তারপরেই মালেগাঁও বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িয়ে যায় সাধ্বীর নাম৷