প্রায় দেড়শো শিশুর মৃত্যুতে হাহাকার শুরু হয়েছে বিহারের মুজফফরপুরে। সেখানে এনকেফেলাইটিসের মারণ থাবায় ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা৷ এরই মাঝে চিকিৎসা পরিকাঠামোর দুর্বলতা ও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের পদত্যাগ দাবি করলেন বিক্ষোভকারীরা৷
বৃহস্পতিবার প্রচুর সংখ্যক বিক্ষোভকারী মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ও বিহারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডের পদত্যাগ দাবি করেন৷ এই ইস্যুর উত্তাপ ছড়ায় নয়াদিল্লিতেও৷ দিল্লির রাস্তায় বের হয় প্রতিবাদ মিছিল৷ এই ঘটনাকে জাতীয় বিপর্যয় বলে ব্যাখ্যা করেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ এই ইস্যুতে আগামী সপ্তাহে শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে এই ইস্যুতে তুলোধনা করেছেন কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ। তিনি বলেন, “বিহারে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে৷ অথচ শাসক দলের কোনও হেলদোল নেই৷ প্রত্যেক মৃতের পরিবারের পাশে রয়েছে কংগ্রেস৷ যে সব শিশুরা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের পরিবারকে সমবেদনা জানানোর ভাষা নেই।” পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, এনকেফেলাইটিস ছড়িয়ে পড়ার ১৪ দিন পর হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়েছেন নীতিশ কুমার৷ অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।
উল্লেখ্য, বুধবার শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী৷ বিহার সরকার শুরু থেকেই এই মারণরোগকে এনকেফেলাইটিস বলে মানতে নারাজ৷ বিহারের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের মতে রক্তে শর্করা অতিরিক্ত পরিমাণে কমে যাওয়ার দরুনই এই মৃত্যু৷ ভিলেন হিসাবে উঠে আসছে লিচু ফলের নাম৷ অপুষ্টির শিকার শিশুরা খালি পেটে লিচু খেয়ে নিয়েছে৷
এদিকে হাসপাতালে আসার পরই বাবা-মায়েদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ও উপ মুখ্যমন্ত্রী৷ এমনকি ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও ওঠে৷ রোগীর পরিজনদের বিক্ষোভ কোনওরকমে নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ৷