ভোটের আগে থেকেই উত্তপ্ত ছিল ভাটপাড়া৷ আর যত দিন যাচ্ছে ভাটপাড়া পৌরসভার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য সমর্থক থেকে সাধারণ মানুষের ওপরে গুণ্ডামি, আক্রমণের ঘটনা বেড়েই চলেছে৷ তাই ভাটপাড়া পৌরসভার বেশকিছু তৃণমূল কাউন্সিলর ও দলীয় নেতারা বিধানসভায় ছুটে আসেন রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছে । সেখানে এসে তাঁর কাছে তাঁদের অসহায় অবস্থার কথা বর্ণনা করেন৷ ফিরহাদ আশ্বস্ত করেন তাঁদের যে সরকার সবসময় তাঁদের পাশে থাকবে৷
ভাটপাড়া পুর এলাকায় বিজেপির মদতপুষ্ট গুণ্ডাদের আক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ । এদিন বিধানসভা থেকে টেলিফোনে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার অজয় ঠাকুরকে টেলিফোনে এলাকায় আরও ফোর্স বারাবার নির্দেশ দেন রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম । প্রয়োজনে এই বিষয়টি নিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে আশ্বাস দেন দলীয় নেতা কাউন্সিলরদের ।
পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘কোন একটি রাজনৈতিক দল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ রাজ্যের মানুষকে বিভাজনের রাজনীতিতে এনে ফেলার চেষ্টা করছে । আর তাই সুচতুরভাবে এরাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা চালাচ্ছে, যে এ রাজ্যের সরকার মুসলিম তোষণ চালাচ্ছে ।’
এদিন বিধানসভায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, ‘এ রাজ্যের সরকার যদি মুসলিম তোষণ করেই চলবে তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে কালীঘাটের মন্দির সংস্কার, দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরের সংলগ্ন স্কাইওয়াক, তারকেশ্বর শিব মন্দির সংস্কার, কঙ্কালীতলা মহাপীঠ সংস্কার এমনকি কৈলাস শিব মন্দিরের সংস্কার সহ একাধিক হিন্দু মন্দির সংস্কারের কাজ করেছে কি করে? কোনভাবেই এ রাজ্যের কৃষ্টি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে এমন কোন কাজ এ রাজ্যের সরকার করেনি যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি হতে পারে । রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব থেকে শুরু করে এ রাজ্যের মনীষীরা যে সর্বধর্ম সমন্বয়ের পথ ধরে রাজ্যের মানুষকে এক সূত্রে বেঁধে রেখেছেন, তার অন্যথা যারা করতে চাইছে তাঁরা একদিন মানুষের কাছ থেকে শিক্ষা পাবে ।’