চলতি মাসের শুরুতেই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। তখনই জানা গিয়েছিল আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে কাজ করবেন ‘আচ্ছে দিন’-এর ‘থিঙ্কট্যাঙ্ক’। দায়িত্ব পেয়েই এবার কাজ শুরু করে দিলেন ইলেকশন স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর। প্রথমে দিল্লীতে তৃণমূল সাংসদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বুঝতে চেষ্টা করলেন তিনি। সেইসঙ্গে বিভিন্ন কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টাও করলেন এই দুঁদে রাজনৈতিক কৌশলী।
প্রসঙ্গত, বুধবার বিকেলে ৬১ নং, সাউথ অ্যাভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে সাংসদের সঙ্গে পিকে-র পরিচয় করিয়ে দেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন। আলোচনায় প্রশান্ত কিশোর প্রত্যেক সাংসদের নির্বাচনী রণকৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছিলেন। প্রতিপক্ষ বিজেপি প্রার্থীর নির্বাচনী রণকৌশল এবং তাদের প্রাপ্ত ভোট সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা কী, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। প্রশান্ত এ-ও জানতে চেয়েছেন সদ্য সমাপ্ত লােকসভা নির্বাচনে সাংসদদের নিজের এলাকায় দলের পক্ষে ও বিপক্ষে গিয়েছে এমন কতগুলো বিষয়ে।
সবশেষে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে আগামী দিনে সাংসদদের কী কী করণীয়, আর কী কী বর্জনীয় প্রাথমিকভাবে সে ব্যাপারে বুঝিয়েছেন তিনি। ডেরেক জানিয়েছেন, ‘সংসদ অধিবেশনের পর দলের সাংসদের নিয়ে ঘরোয়া আলোচনা হয়েছে। এর বেশি কিছু নয়।’ বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, মহুয়া মৈত্র, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মালা রায়, সাজদা আহমেদ, অপরূপা পোদ্দার, চৌধুরী মোহন জাটুয়া, প্রতিমা মণ্ডল, শতাব্দী রায়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অসিত মাল এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদদেরাও।