হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপে তিনি পোস্ট করেছিলেন তাঁর একটি ছবি এবং সাথে লিখেছিলেন, হয়তো এটাই আমার শেষ ছবি৷ সেই কথাই যে অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাবে এমনটা কেউই ভাবতে পারেননি, যেমন ভাবতে পারেননি মেজর কেতন শর্মার পরিবার৷ অনন্তনাগে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মঙ্গলবার শহিদ হন মেজর কেতন শর্মা৷ মেজরের এক আত্মীয় জানান, “তিনি সোমবার ভোরে এই মেসেজ করেছিলেন, কিন্তু তারপর থেকে আরও কোনও প্রত্যুত্তর দেননি।”
প্রসঙ্গত, সোমবার থেকে এই গুলির লড়াই চলছিল অনন্তনাগে৷ এতেই শহিদ হন মেজর কেতন শর্মা৷ দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগে এনকাউন্টার পর্বে এক জঙ্গিকেও খতম করা হয়৷ অনন্তনাগে সোমবার দিনভর তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল ১৯ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, জম্মু কাশ্মীর পুলিশ ও সিআরপিএফ৷ তখনই শুরু হয় গুলির লড়াই৷ মেজর কেতন শর্মার শহিদ হওয়ার খবরে শোকের ছায়া তাঁর বাড়িতে৷ সন্তানের মৃত্যুর খবরে শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন মেজর শর্মার বাবা রবীন্দ্র শর্মা ও মা উষা শর্মা৷
দেরাদুনের ইণ্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমির এই ছাত্র প্রথম থেকেই সাহসী হিসেবে পরিচিত ছিলেন৷ পুনেতে পোস্টিং হয় কেতন শর্মার৷ তারপর সেখান থেকেই সোজা অনন্তনাগ৷ দুবছর আগেই যোগ দেন ১৯ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসে৷
জম্মু কাশ্মীরে সেই থেকেই কাজ শুরু৷ ৬ বছর আগে বিয়ে করেন কেতন৷ স্ত্রী ইরা মান্দার শর্মা তাঁর বাবার বাড়িতে ছিলেন, যখন কেতনের মৃত্যুর খবর আসে৷ কেতন ইরার তিন বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে, তাঁর নাম কিয়ারা৷