বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আধিপত্য কায়েম করতে নয়া অর্ডিন্যান্স জারি করল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। সেই অর্ডিন্যান্সের খসড়া ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভায় পাশ করিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে খবর। সেখানে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মুচলেকা দিতে হবে যে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনও জাতীয়তাবাদ বিরোধী কার্যকলাপ অনুমোদন দেওয়া হবে না। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে সেখানে ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক পরিবেশ, সৌভ্রাতৃত্ব এবং সহিষ্ণুতা বজায় রাখতে হবে।
এই অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে গেরুয়া পরিবেশের বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কারণ কোনটা জাতীয়তাবাদ বিরোধী কার্যকলাপ তা কিভাবে ঠিক করা হবে? এইসব করে আসলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছেন বলে একাংশের মত। এই অর্ডিন্যান্সটি মন্ত্রিসভায় পাশ করিয়ে নেওয়া হলেও বিধানসভায় পাশ হয়নি। সেখানে পেশ করা হবে ১৮ জুলাই। উত্তরপ্রদেশ জুড়ে যত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে তাদের জন্য নতুন আইন তৈরি করা হয়েছে এই অর্ডিন্যান্সে। সেই আইন মেনেই চলতে হবে। সেখানে কোনও স্বশাসিত ব্যাপার রাখা হচ্ছে না বলেই অভিযোগ।
এই অর্ডিন্যান্সে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, দারিদ্র সম্প্রদায়ভুক্ত ছেলে–মেয়েদের ভর্তি নিতে হবে নির্দিষ্ট সংখ্যায়। এমনকী তাদের কাছ থেকে ৫০ শতাংশ কম ফি নিতে হবে। আর ৭৫ শতাংশ অধ্যাপক-অধ্যাপিকাকে স্থায়ী করতে হবে। শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া কাউকে কোনও সাম্মানিক ডিগ্রি দেওয়া যাবে না। উপাচার্যের নিয়োগের ক্ষেত্রে আচার্যের সম্মতি নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি বিক্রি, হস্তান্তর, লিজ বা মর্টগেজ দেওয়া যাবে না।