গতকাল থেকে শুরু হয়েছে সপ্তদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশন। আর এই লোকসভায় কংগ্রেসের থেকে এক বড় চমক উপস্থিত। বাংলার বর্ষীয়ান নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে দলনেতা হিসেবে নির্বাচন করল কংগ্রেস। মঙ্গলবার থেকে তিনি সংসদে কংগ্রেস দলনেতার জন্য নির্দিষ্ট আসনে বসতে শুরু করেছেন। এদিন লোকসভায় তাঁর সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ কথা হয়েছে ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধীর।
লোকসভায় প্রথম অধিবেশন শুরু হয়ে গেলেও দলনেতা নির্বাচন নিয়ে রবিবার পর্যন্ত কোনও পাকা সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। সংসদে দলনেতা হওয়ার দৌড়ে অধীর রঞ্জন চৌধুরী ছাড়াও ছিলেন শশী থারুর, মণীশ তিওয়ারি ও কেরালার কংগ্রেস সভাপতি কে সুরেশেরাও। তবে শেষ পর্যন্ত সবাইকে হারিয়ে চূড়ান্ত হয়েছেন বহরমপুরের সাংসদই।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বহু প্রতীক্ষিত কংগ্রেসের কৌশল নির্ধারণ সভায় অধীরকে লোকসভা দলনেতা হিসেবে নিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ও তাঁর মা তথা ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী। এদিনই লোকসভায় চিঠি মারফত দলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে গত লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরে সংসদে কংগ্রেস দলনেতা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে প্রধান বিরোধী দল। রাহুল গান্ধী স্বয়ং সেই দায়িত্ব নেবেন চিন্তা করে এই বিষয়ে তাড়াহুড়ো করেনি হাইকম্যান্ডও। কিন্তু এরপরে রাহুল বেঁকে বসলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। অবশেষে মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়েছে শীর্ষ কংগ্রেস নেতৃত্ব। এখন এটাই দেখার লোকসভায় কংগ্রেসের নতুন চমক কতটা কার্যকরী হয়। তবে কংগ্রেসের এই বর্ষীয়ান নেতার কাঁধে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্তকে প্রশংসিত করছেন জাতীয় রাজনৈতিক মহল।