লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশ হতেই বারেবারে দেখা যাচ্ছে বিজেপির অত্যধিক বাড়বাড়ন্ত৷ বারেবারে বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্ত হচ্ছে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা৷ এবার ফের ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে তৃণমূলের কার্যালয়ে তান্ডব চালাল গেরুয়া শিবির৷
শক্তিগড় থানার হাটগোবিন্দপুরে সোমবার সকালে একুশে জুলাইকে সামনে রেখে সভা করে তৃণমূল। তারপর হঠাৎ ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে দিতে কয়েকজন দুষ্কৃতী অফিসের ভেতর ঢুকে টিভি, আসবাবপত্র, আলমারি, মনীষীদের ছবি ভেঙে চুরমার করে দেয়। তৃণমূলের পতাকা পুড়িয়ে দেওয়া হয়। টাঙিয়ে দেওয়া হয় বিজেপির পতাকা। তৃণমূল কর্মীরা বাধা দেওয়ায় তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়৷
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বর্ধমান উত্তর বিধানসভার বিধায়ক নিশীথ মালিক। তিনি সঙ্গে সঙ্গে দলের রাজ্য নেতৃত্ব, জেলা নেতৃত্ব, জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে ঘটনার বিস্তারিত জানান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে শক্তিগড় থানায় অভিযোগ জানানো হয়।
বিধায়ক নিশীথ মালিক পুলিশের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘এদিন সকালে একুশে জুলাইকে সামনে রেখে একটি সভা হয়েছে হাটগোবিন্দপুরের বর্ধমান দু’নম্বর ব্লকের তৃণমূল কার্যালয়ে। সভার শেষে সকলে ফিরে গেলেও জনা চারেক দলীয় কর্মী অফিসে বসেছিলেন। তখন অতর্কিতে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে সিপিএমের লোকেরা হাতে বিজেপির পতাকা নিয়ে অফিসে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে। উপস্থিত তৃণমূল কর্মীরা বাধা দিতে গেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। অফিসের ভেতরে থাকা টিভি, মনীষীদের ছবি, আসবাবপত্র সমস্ত কিছু ভেঙে চুরমার করে দেয় তারা। দলের পতাকা পুড়িয়ে দেয়। বিজেপি–র পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। অফিসের বাইরে লাগানো গ্লোসাইন বোর্ড যাতে দলের কার্যালয়ের নাম লেখা ছিল সেটি নামিয়ে ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়।’
অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে। এদিন হাটবার ছিল বলে এই ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।