‘প্রশাসন ধৈর্য ধরে আছে। গণতন্ত্রের পরিচয় দিচ্ছে। অন্য রাজ্যে হলে এমনটা ঘটত না’। শনিবার সিনিয়ার ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের পর শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই মুখ্যসচিব মলয় দে বলেন, ‘অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। তাদের দাবি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তাজনিত যা ব্যবস্থা নেওয়ার পুরোটাই নেওয়া হয়েছে। আন্দোলনকারীদের দু’বার ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তারা আসতে পারেননি’। এরপরেই মাইক তুলে নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা লাগাতার প্রচেষ্টা চালিয়েছিলাম। চন্দ্রিমাকেও পাঠিয়েছিলাম। আবেদন করেছিলাম কোনও কাজ হয়নি। মেদিনীপুর মুর্শিদাবাদে মারা গেছেন। মানুষ ডাক্তারদের ভগবান বলে মনে করেন। কারণ ওরা জীবন ফিরিয়ে দেন। আমি এসএসকেএম-এ গেছিলাম দেখতে। আমি যখন হেঁটে যাচ্ছিলাম আমায় ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। বাজে আচরণ করা হয়েছে। তাও আমি কাউকে অ্যারেস্ট করতে বলিনি। আমি কাল পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। সুকুমারদারা (সিনিয়র ডাক্তার) জানালেন, ওরা আজ আসতে পারবেন। আমরা আজও অপেক্ষা করলাম। কেউ তো এলই না। কালকেও টাইম দিলাম, আজকেও টাইম দিলাম। ওরা এলই না। সিনিয়ররাও চেষ্টা করেছে। সরকার কিন্তু কোনও নেতিবাচক আচরণ করেনি’।
এদিনের বৈঠকে বিভিন্ন রাজ্যের সরকারের ‘এসমা’ জারি করার উদাহরণ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন মোদী সরকারও এসমা জারি করেছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, ‘আমরা এখনও এসমা জারি করছি না। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি বলে। এখনও অনুরোধ করব। কাজে ফিরে আসুন। কারোর প্ররোচনায় পা দেবেন না। অনেকে প্ররোচনা দিচ্ছে। শান্তিপূর্ণ সমাধান চাইছি বলে। কিছু কিছু বহিরাগত রয়েছে। যারা ক্রমাগত এই আন্দোলনে উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে। ওদের যতরকম দাবি ছিল সব পূরণ করা হয়েছে। পাঁচজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তাদের যদি আরও কোনও দাবি থাকে সরকার সেটাও মেনে নেবে। এখনও আবেদন করব কাজে ফিরে আসুন’।