ভুলের মাশুল দিতে হল এক মালয়েশিয়ান গায়িকাকে। ভুলটা শুনতে হাস্যকর হলেও কাজটি আইনবিরুদ্ধ। কুকুর ভেবে ভাল্লুক পুষেছিলেন ওই মালয়েশিয়ান গায়িকা! আর সেই জন্যই রাতদুপুরে গ্রেফতার করা হল এই মালয়েশিয়ান গায়িকাকে। কারণ এটি বন্যপ্রাণ আইন ভঙ্গের অপরাধের অন্তর্ভুক্ত।
প্রসঙ্গত, সপ্তাহ দুয়েক আগে রাতে অনুষ্ঠান সেরে ফিরছিলেন বছর সাতাশের গায়িকা সোফিয়া ইয়াসিন৷ রাস্তার ধারে তিনি দেখতে পান, একটি প্রাণী পড়ে রয়েছে৷ তাকে নিজের গাড়িতে তুলে বাড়ি নিয়ে আসেন৷ সুস্থ করে বাড়িতেই রেখে দেন৷ সেখানে যত্নেই ছিল প্রাণীটি৷ সোফিয়া ভালবেসে তার নাম রাখে ‘ব্রুনো’৷
কিন্তু আচমকা একদিন সোফিয়ার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ৷ তাঁকে বন্যপ্রাণ আইন ভাঙার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়৷ তখনও তিনি কিছুই বুঝতে পারেননি তিনি৷ পরে তাঁকে পুলিশ জানায়, তাঁর বাড়িতে থাকা প্রাণীটি আসলে একটি বুনো ভাল্লুক৷ একদিন তাঁর বহুতল ফ্ল্যাটের জানলা দিয়ে উঁকি মারতে দেখা গিয়েছিল প্রাণীটিকে৷ তাতেই সন্দেহ হয়৷ খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, সেটি একটি ভাল্লুক৷ যা গৃহপালিত পশু হিসেবে বাড়িতে রাখা বেআইনি৷
তিনি তদন্তকারীদের জানান, তিনি ভেবেছিলেন প্রাণীটি একটি বড়সড় কুকুরমাত্র৷ তাই তাকে রাস্তার ধারে কাতরাতে দেখে পুষেছিলেন মাত্র৷ তিনি এও বিশ্বাস করানোর চেষ্টা করেন, ব্রুনোর মধ্যে বুনো কোনও স্বভাব তিনি দেখেননি৷ সে অত্যন্ত ভালভাবে, আদর-যত্নেই ছিল৷ তবে তা এখনও ধোপে টেকেনি। ব্রুনোকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্থানীয় একটি চিড়িয়াখানায়৷ আর গায়িকা জারিথ সোফিয়া ইয়াসিনকে কারারুদ্ধ করা হয়।