ভোট প্রচারে বেরিয়েই বিজেপির ‘জয় শ্রীরাম’-এর পাল্টা হিসেবে ‘জয় হিন্দ-জয় বাংলা’ স্লোগান তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, “জয় শ্রীরাম বাংলার সংস্কৃতি নয়। আমরা বলব, ‘জয় হিন্দ-জয় বাংলা’।” কিন্তু ২৩ মে ভোটের ফলপ্রকাশের পর দেখা গেছে, আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির। ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তুলে রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে তারা। আর এবার তো লুকিয়ে নয়। একেবারে প্রকাশ্যেই উঠল জয় শ্রীরাম স্লোগান।
শুক্রবার, আজ মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণীতে হেলিকপ্টার থেকে নেমে কাঁচড়াপাড়ায় সভা করতে যাবেন বলে আগেই জানান হয়েছিল। আর তাই গোটা রাস্তা দলীয় পতাকা ও জয় শ্রীরাম লেখা কাট আউট দিয়ে মুড়ে ফেলেছে বিজেপি। যেখানে যেখানে তৃণমূল কর্মীরা দলনেত্রীর কাট আউট লাগানো হয়েছে, ঠিক তার গায়ে গায়ে গায়েই বিজেপি কর্মীরা মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অর্জুন সিংদের ছবি-সহ কাট আউট লাগিয়েছে। মমতার ছবির মাথায় যেমন লেখা, ‘জয়হিন্দ-জয় বাংলা’ , তেমনই মুকুল, কৈলাস, অর্জুনদের ছবি দেওয়া ফ্লেক্সে লেখা ‘জয় শ্রীরাম’।
শুধু তাই নয়। এই গোটা রাস্তায় আড়াইশোর বেশি ডিজে বক্স লাগিয়েছিলেন বিজেপি কর্মীরা। যাতে বিভিন্ন রিদমের জয় শ্রীরাম গান বাজানো হয়। মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার যেখানে নেমেছে, সেখানে আবার চোঙার মুখ উপর দিকে করে দেওয়া হয়েছিল। যাতে কানে যায় তাঁর। প্রসঙ্গত, আইন বলছে, এ রাজ্যে ডিজে বাজানো নিষিদ্ধ। কিন্তু বরাবরের মতো এবারও বেআইনি পথই বেছে নিল তারা। মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় যাওয়ার সময় আবারও রাস্তার দু’পাশ দিয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করল গেরুয়া বাহিনী।