জমে উঠেছে বিশ্বকাপের ধুন্ধুমার লড়াই। প্রতিটি দেশের সমর্থকই তাঁদের দেশের হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন। আর তার সঙ্গেই আছে বৃষ্টির চোখরাঙানি। বৃষ্টির কবলে পড়ে ভেস্তে গেছে চার-চারটি ম্যাচ। সব মিলিয়ে রুদ্ধশ্বাস লড়াই। বিশ্বকাপের এই পর্যায়ে এসে যদি তৈরি হত ফ্যানটাসি একাদশ বা রুপকথার একাদশ, তাহলে কেমন হত সেই দল? দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
১ নম্বরে থাকবেন রোহিত শর্মা। তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। প্রথম ম্যাচে ১২২, পরের ম্যাচে ৫৭। এই মুহূর্তে রোহিতের থেকে যোগ্য ওপেনার কেই বা আছে আর? ডেভিড ওয়ার্নারের আশঙ্কা ছিল আর কোনও দিন হয়তো অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে সেঞ্চুরি করতে পারবেন না। কিন্তু সেই আশঙ্কা দূর করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১০৭ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলার পরে স্বস্তি ফিরেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপজ্জনক ওপেনারের। তাই রুপকথার একাদশে রোহিতকে সঙ্গ দেবেন ওয়ার্নার।
ফ্যানটাসি একাদশে অধিনায়কের দায়িত্ব বর্তাচ্ছে বিরাটের ওপরেই। বিরাটের পারফরম্যান্সও বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত বেশ ভাল। তাই তিন নম্বর স্থান দেওয়া হল তাঁকেই।ধারাবাহিক ও দায়িত্বশীল ব্যাটসম্যান হিসাবে স্মিথ রইলেন দলে। বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত বেশ ভাল পারফরম্যান্স রয়েছে তাঁর। চার নম্বর স্থান দখল করলেন তিনিই।
শাকিবকে রাখতেই হবে দলে। তিনি বিশ্বকাপ শুরুই করেছেন রেকর্ড দিয়ে। বল ও ব্যাট হাতে প্রতিটি ম্যাচে ঝলসে উঠেছেন বাংলাদেশের তারকা। তাই ফ্যানটাসি একাদশ তাঁকে ছাড়া অসম্পূর্ণ।
কুশল পেরেরাকে রাখা যেতে পারে আগ্রাসী মনোভাবের জন্য। তিনি উইকেটকিপার হিসাবেও বেশ সফল। শেষ দুই ম্যাচে ৭৮ ও ২৯ রান করেন। বিশ্বকাপে ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলছেন হার্দিক। আইপিএলেও নজর কেড়েছেন। তাই তিনিও আছেন এই দলে।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল থাকছেন এই দলে। পার্ট টাইম অফ স্পিনার হিসাবেও ভাল। এ ছাড়াও অলরাউন্ডার হিসাবে তিনি যথাযথ। নামের পাশে বড় স্কোর মানেই ম্যাক্সওয়েল, এই প্রবাদের মর্যাদা তিনি রাখবেন বলেই মনে হয়। বল হাতে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন প্যাট কামিন্স। এই সিমারকে দলে রাখতে দ্রুত উইকেট তুলে নিতে পারবেন যে কোনও মুহূর্তে।
যুজবেন্দ্র চহালকে রাখতেই হবে। তাঁর ঘূর্ণিতে কুপোকাত হয়েছে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা। দিব্যি ভাল খেলছেন তিনি। দলের অন্যতম ভরসার জায়গা পেস শক্তি। আর পেসকে মজবুত করতে থাকছে যশপ্রীত বুমরাও। দলে তাঁকে রাখতেই হবে। সব মিলিয়ে বেশ জমজমাট এই রুপকথার একাদশ।