মোহভঙ্গ হয়েছে অনেকেরই। বিজেপিতে যোগ দেওয়া সমর্থকরা আবার পুরোনো আস্তানায় ফিরতে শুরু করেছে। সাময়িক মোহে যে তাঁরা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেটাও বুঝতে পারছেন। এইবার সব কর্মী সমর্থকদের মনোবল ও সংগঠন মজবুত করার দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পেশী শক্তি, সন্ত্রাস, ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে থাবা বসিয়েছিল বিজেপি। অল্পের জন্য এই কেন্দ্রে হারতে হয়েছিল গতবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের বিশিষ্ট নেতা দীনেশ ত্রিবেদীকে। তবে এই সেই গড়ে পা রাখতে চলেছেন মমতা।
শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগণার বীজপুরের মিলন নগর আদর্শ সংঘের মাঠে কর্মী সভা করবেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সভার দিনই তার বীজপুরে পৌঁছানোর কথা আছে৷ উত্তর ২৪ পরগণায় মুখ্যমন্ত্রীর সভা উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন৷ ব্যারাকপুর মহকুমায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীজপুরে কর্মীসভা করতে আসছেন৷
মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে শুক্রবার অনেকেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস দলে যোগদান করবেন বলেও জানা গেছে। নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘বিজেপিতে যোগদানকারী অনেকেরই মোহভঙ্গ হয়েছে। ওই দল ছেড়ে যারা তৃণমূল কংগ্রেস দলে আসবেন তাদের জন্য দরজা খোলা আছে।’
মুখ্যমন্ত্রীর এই সভা ঘিরে উন্মাদনার পারদ চরমে।শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর এই কর্মীসভায় অন্তত ৫০ হাজার লোক আসবেন বলে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে। তাঁর আগামীকাল কি বার্তা দেন দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে তা শুনতে মুখিয়ে রয়েছেন দলের সর্বস্তরের কর্মীরা। এই উন্মাদনা পরিবেশ বা সভার প্রস্তুতি বৃহস্পতিবার খতিয়ে দেখলেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার তন্ময় রায় চৌধুরী এবং নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক।