যোগী রাজ্যের পুলিশের তৎপরতায় চলল একদিনের অভিযান। খতম হয়েছে কিছু কুখ্যাত দুষ্কৃতী। ২৪ ঘণ্টায় ৬টা এনকাউন্টার। যা পুলিশের অন্যতম অপারেশন বলেও মনে করা হচ্ছে। খতম হয়েছে প্রতাপগড়ের তৌকির হাফিজকে, যার মাথার দাম রাখা হয়েছিল এক লাখ টাকা। এক বছর ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়া মাফিয়াকে বৃহস্পতিবার গুলি করে মারল পুলিশ।
প্রসঙ্গত, আজ ভোরবেলা স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর নিকেশ করে ডনকে। এরপর কানপুর, বারাবাঁকি ও আজমগড়ে আরও পাঁচটি এনকাউন্টার চালায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ২০১৮ সালের মার্চেও ঘটেছিল একই ঘটনা। তিনটি খুন ও একটি খুনের চেষ্টা-সহ ১২টি মামলা ঝুলছিল ২৮ বছরের হাফিজের নামে। হোয়াটসঅ্যাপ কলের মাধ্যমে তোলাবাজিতে সে ত্রাস হয়ে উঠেছিল ডাক্তার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে। যাঁরাই তাকে টাকা দেয়নি, তাদের সে খুন করেছে। এ ছাড়াও গত বছর ব্যাঙ্ক অফ বরোদায় ডাকাতিতেও সে-ই ছিল মাস্টারমাইন্ড।
এসটিএফের আইজি অমিতাভ যশ জানিয়েছেন, ‘কোতোয়ানি থানা এলাকায় হাফিজের উপস্থিতির খবর পেয়ে এসএসপি ও এসটিএফের নেতৃত্বে হানা দেয় বাহিনী। প্রথমে বাইকে পালানোর চেষ্টা করে ডন। তাকে ধাওয়া করা শুরু হলে সে গুলি ছুড়তে শুরু করে। পালটা গুলি করে পুলিশও। এসটিএফের ছোড়া তিন রাউন্ড গুলির মধ্যে দুটি গিয়ে লাগে ডনের গায়ে। তাঁকে প্রতাপগড় জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।’ একদিনে ৬টা এনকাউন্টার চলতি বছরে সর্বাধিক।