এবার উপত্যকায় আসন পুনর্বিন্যাসের পরিকল্পনায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। মোদী সরকারের এই ভাবনা-চিন্তা সামনে আসতেই প্রতিবাদে মুখর রাজ্যের মুখ্য দুই রাজনৈতিক দল ন্যাশানাল কনফারেন্স ও পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি৷
জম্মু-কাশ্মীরে গত ১ বছর ধরে জারি রয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন৷ নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, চলতি বছরের শেষে হতে পারে বিধানসভা ভোট৷ সূত্রের খবর, এই অবস্থায় জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভার আসন পুনর্বিন্যাসের পরিকল্পনা চলছে৷ আর তাতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে উপত্যকার রাজনীতি৷
এই বিষয়ে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা জানিয়েছেন, “সর্বশক্তি দিয়ে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ রোখা হবে৷ জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের সম্মতি ছাড়া এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না৷” তাঁর আরও দাবি, “দেশের সর্বত্র আসন পুনর্বিন্যাস হলে এখানেও করা যেত৷ কিন্তু ভোটের আগে কেবল জম্মু-কাশ্মীরে তা করা যাবে না৷ এই সিদ্ধান্তের পিছনে মোদী-শাহের রাজনৈতিক চাল রয়েছে বলেই মনে করেন ওমর৷” পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে জানান, ‘‘বিধানসভা পুনর্বিন্যাসের মধ্যে দিয়ে ফের এক বার রাজ্যকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করতে চায় কেন্দ্র।’’
স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহের ভাবনায় রয়েছে এই পুনর্বিন্যাসের বিষয়টি৷ যাতে সিলমোহর দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী৷ ফলে শুরু হয়েছে তৎপরতা৷
জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ৮৯। এর মধ্যে দু’জন মনোনীত সদস্য। বাকি ৮৭ জন নির্বাচিত সদস্য। ৪৬ জন জম্মু ও ৩৭ জন বিধায়ক নির্বাচিত হন কাশ্মীর থেকে। লাদাখ অঞ্চল থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন চার জন বিধায়ক।
রাজ্যের ক্ষমতার ভর কেন্দ্র ঘোরাতে মরিয়া গেরুয়া শিবির৷ এছাড়াও রয়েছে কঠোর হাতে জঙ্গি দমন, ৩৭০-এর মতো ধারা বিলোপের বিষয়গুলি৷ সেই কারণেই হয়তো মোদী ও তাঁর সেনা অমিত শাহের নজরে এই পুনর্বিন্যাসের পরিকল্পনা৷