দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসে মোদী সরকার আবার শিক্ষাক্ষেত্রে রদবদলের পথে হাঁটতে চাইছেন। আর তারফলেই হোঁচট খেতে হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। মোদী প্রথম ইনিংসে ‘নোট বাতিল’, ‘জিএসটি’ ইত্যাদি নীতি একপ্রকার চাপিয়েই দিয়েছিল সাধারণ মানুষের ওপর। এইবার আরও একবার হিন্দীকে আবশ্যক করতে চাইছে মোদী সরকার। প্রধানমন্ত্রী মোদীর ‘নিউ ইন্ডিয়া’র ‘নিউ এডুকেশন পলিসি’ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় সরকার। ইসরোর প্রাক্তন প্রধান কে কস্তুরীরঙ্গন কমিটির সুপারিশ রিপোর্ট জমা পড়ার বিষয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতেই চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। সারা দেশে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দী আবশ্যিক করার এই শিক্ষা নীতি শুক্রবার জমা পড়েছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে।
এরপররেই ‘হিন্দী চাপিয়ে দেওয়ার’ অভিযোগে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। তীব্র আপত্তি জানিয়েছে বিভিন্ন রাজ্য ও রাজনৈতিক দল। বিশেষ করে দক্ষিণের রাজ্যগুলি বেশি করে সরব হয়েছে। তামিলনাড়ুর প্রধান বিরোধী দল ডিএমকে ‘চাপিয়ে দেওয়ার’ বিরোধিতা করেছে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অভিনেতা তথা এমএনএম পার্টির নেতা কমল হাসান। হিন্দী বাধ্যতামূলক করা নিয়ে রাজ্যে বাড়ন্ত ক্ষোভ দেখে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা এনডিএর সদস্য নেতা পলানিস্বামী।
প্রসঙ্গত, বর্তমান শিক্ষানীতি তৈরি হয়েছিল ১৯৯২ সালে। ২০১৪-তে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর নয়া শিক্ষানীতি তৈরির জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান কস্তুরীরঙ্গনকে মাথা করে কমিটিতে ছিলেন ৮ জন বিশেষজ্ঞ। ওই কমিটির জমা করা রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, ভাষা, বিজ্ঞান ও অঙ্ক এবং দক্ষতাভিত্তিক করতে হবে শিক্ষাকে। ত্রিমুখী শিক্ষানীতি অনুযায়ী, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দীর পাঠ আবশ্যিক করা জরুরি। এইরকম ‘চাপিয়ে দেওয়া’ কখনই আবশ্যক নয়। মোদীর দ্বিতীয় ইনিংসেই একের পর এক কর্মকান্ড সামনে আসতেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মানুষের মধ্যে। প্রথম থেকেই যদি এমন চলতে থাকে আগামী পাঁচ বছরে সাধারণ মানুষের জন্য আর কী কী অপেক্ষা করছে সেটাই ভাবাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহলকে।