গতবারের তুলনায় এইবার বাংলায় বিজেপি কিছুটা আসন সংখ্যা বাড়াতে পেরেছে। মূলত বামেদের ব্যাঙ্কের পুরোভাগ ভোটই গেছে বিজেপির ঝুলিতে। তবে নির্বাচনের নির্ঘন্ট বাজার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলায় একপ্রকার সন্ত্রাসের আবহাওয়া তৈরি করেছে বিজেপি। আর সেটা যে পেশিবলে তা রাজ্যবাসী দেখতেই পেয়েছেন। আর এই পেশিবলের দ্বারাই যে বাংলাতে আসতে চাইছে বিজেপি সে কথা একপ্রকার স্বীকারই করে নিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্যের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘বাংলায় এখন ভোটে জিততে লোকবলের সঙ্গে পেশিশক্তিও লাগে।’
প্রসঙ্গত গত কয়েকদিন আগে দিল্লীতে বিজেপিতে যোগদান করেন মনিরুল ইসলাম। মুকুল রায়, কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের হাত ধরে বিজেপিতে এসেছেন লাভপুরের এই দাপুটে নেতা। আর এরপরেই বিদ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে বঙ্গ বিজেপিতে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্ষোভ উগরে দেন হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রন্তিদেব সেনগুপ্ত। এমনকি প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিষ্ণুপুর লোকসভার সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের স্ত্রীও। এই অবস্থায় কীভাবে বিজেপি শিবিরকে শান্ত করবেন দিলীপ, মুকুলরা তা অবশ্যই বড় চ্যালেঞ্জ তাঁদের কাছে।
পরবর্তী সময়ে এই পেশিশক্তি বাড়াতেই কি মনিরুলকে দলে নেওয়া হল? সাংগঠনিক শক্তির থেকে কি পেশিশক্তিই বড় গেরুয়া শিবিরের কাছে? এখন এইসব প্রশ্নই ঘুরছে রাজ্যের আনাচে কানাচে। পেশিশক্তির জোরে ক্ষমতা দখল করা হলে রাজ্যে যে সন্ত্রাসের মাত্রা বাড়বে এমন কথাও ভাবাচ্ছে সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদেরও।