লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই সন্ত্রাস জারি রেখেছিল বিজেপি। ফলাফল প্রকাশের পরে তা যেন আরও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। গেরুয়া শিবিরের এই সন্ত্রাসের আঁচ গিয়ে পৌঁছল ত্রিপুরাতে। ত্রিপুরাতে খুন হলেন ৩ বিরোধী কর্মী। জখম শতাধিক।
সদ্য অনুষ্ঠিত লোকসভা ভোটে ত্রিপুরার দু’টি আসনেই বিজেপি জয়ী হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে কংগ্রেস। আর তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছে বামেরা। ভোটের ফল প্রকাশের পরই রাজ্যের প্রান্তে প্রান্তে বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের উপরে একযোগে আক্রমণ শুরু হয়েছে বলে একযোগে অভিযোগ বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্বের। এক্ষেত্রে বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তাঁরা।
গত ২৩ মে লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকে বিজেপি শাসিত উত্তরপূর্বের এই রাজ্যে কমপক্ষে ৩ জন রাজনৈতিক দলের কর্মী খুন হয়েছেন। রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি শতাধিক রাজনৈতিক কর্মী। হতাহতের অধিকাংশই বিরোধী দলের কর্মী সমর্থক। এদিকে, হিংসা বন্ধের জন্য সমস্ত রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।
বিরোধী নেতা প্রবীর কর বলেছেন, ‘ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে আমাদের অন্তত ১৫টি পার্টি অফিস গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের বিজয় মিছিল থেকে আমাদের কর্মী ও তাঁদের সম্পত্তির উপরে হামলা চালানো হচ্ছে।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘প্রতিদিন এমন ঘটনা ঘটছে। সবার ওপরেই বিজেপি কর্মী সমর্থকরা হামলা চালাচ্ছে।’
বাংলাতেও এই একই ভাবে সন্ত্রাস চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির। বিভিন্ন জায়গাতে তৃণমূলের কার্যালয় ভাঙচুর, কর্মীদের ওপর হামলা, মহিলাদের শ্লীলতাহানি ইত্যাদি ঘটনা প্রায় রোজই ঘটছে। গেরুয়া শিবিরের এই সন্ত্রাসে মানুষের দিনপাত হচ্ছে এক অজানা আতঙ্কে।