নরেন্দ্র মোদীর দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর মন্ত্রিসভার ২২ জন মন্ত্রীর বিরুদ্ধেই রয়েছে ফৌজদারি মামলা। ৫৮ জন মন্ত্রীর মধ্যে নরেন্দ্র মোদী–সহ ৫৬ মন্ত্রীর সম্পর্কে তথ্য যোগাড় করে রিপোর্টে একথা জানিয়েছে এডিআর। অর্থাৎ ২০১৪ লোকসভার তুলনায় ফৌজদারি মামলা রয়েছে এরকম মন্ত্রীর সংখ্যা বেড়েছে ৮ শতাংশ। এই ২২ জনের মধ্যে ১৬ জনের নামেই রয়েছে গুরুতর ফৌজদারি মামলা। কেউ খুনের চেষ্টায়, কেউ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট এবং হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে, কেউ আবার ভোটের সময় হিংসার অভিযোগে অভিযুক্ত।
এদিকে, মন্ত্রীদের মধ্যে ৮ জন কেবল দশম কিংবা দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। ৪৭ জন পাশ করেছেন স্নাতক। এবং একজনের রয়েছে ডিপ্লোমার ডিগ্রি। এদিকে, দেখা গিয়েছে এই নয়া মন্ত্রিসভার ৫১ জন সদস্য কোটিপতি। সবচেয়ে বিত্তবান মন্ত্রী হলেন শিরোমণি অকালি দলের নেত্রী হরসিমরত কৌর বাদল। পাঞ্জাবের ভাতিন্ডা থেকে নির্বাচিত এই সাংসদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২১৭ কোটি টাকা। হরসিমরতের পরেই আছেন মহারাষ্ট্র থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভার সাংসদ এবং নতুন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৯৫ কোটি টাকা। ৪২ কোটি টাকার মোট সম্পত্তি নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন গুরগাঁওয়ের সাংসদ রাও ইন্দ্রজিৎ সিং। এবার মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর সম্পত্তির পরিমাণ ৪০ কোটি টাকা।
রাজস্থানে বিকানেরের সাংসদ অর্জুন রাম মেঘওয়াল, মধ্যপ্রদেশের মোরেনার সাংসদ নরেন্দ্র সিং তোমর, উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরের সঞ্জীব কুমার বালিয়ান, অরুণাচল পশ্চিমের সাংসদ কিরেণ রিজিজু, উত্তরপ্রদেশের ফতেপুরের সাংসদ নিরঞ্জন জ্যোতি–সহ কয়েকজনের সম্পত্তির পরিমাণ ২ কোটি টাকার কম। এই মন্ত্রিসভায় ৫ জন এমন মন্ত্রী রয়েছেন যাঁদের সম্পদের পরিমাণ এক কোটি টাকার চেয়ে কম। তাঁরা হলেন – বাংলার রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরি। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৬১ লাখ টাকা। অসমের সাংসদ রামেশ্বর তেলি, কেরলের ভি মুরলিধরন, রাজস্থানের কৈলাস চৌধুরী এবং ওড়িশার বালাসোরের সাংসদ প্রতাপচন্দ্র সাড়েঙ্গি।