গতকালই শপথগ্রহণের পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। আর আজই মন্ত্রীসভায় কে কোন দায়িত্ব পাচ্ছেন তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কার্যত আগামী পাঁচ বছরের জন্য শুরু হয়ে গেল মোদীর দ্বিতীয় ইনিংস। আর সেই ইনিংস শুরুর ১০০ দিনের মধ্যেই বন্ধ হওয়ার সম্ভবনা ৪২টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। ‘আর্থিক সংস্কারমূলক’ সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তার কোপই পড়বে এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার ওপর।
প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে বড়সড় সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হতে পারে ‘বিগ ব্যাং রিফর্ম’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ‘বিগ ব্যাং রিফর্ম’-এর মধ্যে রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া-সহ মোট ৪২টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ অথবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া।
বছর চারেক আগের ৬৫ বছরের পুরনো যোজনা কমিশন তুলে দিয়ে নীতি আয়োগ কমিটিগঠন করেন নরেন্দ্র মোদী। দেশের অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণের দায়িত্ব এখন এই নীতি আয়োগ কমিটিরই। ‘বিগ ব্যাং রিফর্ম’-এর অংশ হিসেবে প্রায় খোলনলচে পালটে ফেলা হতে পারে শ্রম আইনকেও। জটিল এই ৪৪টি ধারার সংযুক্ত আইনকে সরলীকৃত করে চারটি ভাগে ভাগ করা বলে জানিয়েছেন রাজীব কুমার। বিদেশি পুঁজিপতিদের জমি দিতে ল্যান্ড ব্যংকও গঠন করবে সরকার।
এছাড়া আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পুরোপুরি ঝাঁপ বন্ধ হতে পারে বা বেসরকারিকরণ হতে পারে ৪২টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার। তার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত উড়ান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়াও। মোদীর দ্বিতীয় জামানার শুরুতেই এমনই এক ধাক্কার সম্মুখীন হতে চলেছে দেশের একাধিক সংস্থা।