দায়িত্বগ্রহণের দিনই জোড়া খারাপ খবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য। আর্থিক বৃদ্ধির হার ফের কমে গেল। সঙ্গে আরও বাড়ল বেকারত্ব বিড়ম্বনা। ২০১৭ থেকে ২০১৮ অবধি দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৬.১ শতাংশ। যা ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ। প্রসঙ্গত, কর্মসংস্থান নিয়ে এই রিপোর্ট বিজেপির বিরুদ্ধে ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল লোকসভা ভোটের আগেই।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শহুরে এলাকায় বেকারত্বের হার ৭.৮ শতাংশ। গ্রামীণ এলাকায় তা ৫.৩ শতাংশ। গোটা দেশে পুরুষদের মধ্যে বেকারত্বের হার ৬.২ শতাংশ। মহিলাদের মধ্যে তা ৫.৭ শতাংশ। শুধু তাই নয়। আশঙ্কা রয়েছে চলতি বছরের বেকারত্বের হার নিয়েও। সিএমআইই-র রিপোর্ট অনুযায়ী, এপ্রিলের প্রথম তিন সপ্তাহেই ৭ শতাংশ-এর বেশি ছিল দেশে বেকারত্বের হার।
১৪-র লোকসভা ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসার পর বছরে ২ কোটি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার প্রথম সময়কালে কর্মসংস্থানের ছবি মোটেই উজ্জ্বল ছিল না। বিভিন্ন পরিসংখ্যানে তা সামনে এসেছে। এবার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এরকম তথ্য সামনে আসায় আরও অস্বস্তিতে পড়তে হলো মোদী সরকারকে।