সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে বারেবারে সেনার নামে ভোট চেয়েছে বিজেপি। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলার পরেই শুরু হয়েছিল সেনাকে সামনে রেখে প্রচার। সেনাদের সামনে রেখে সেই আবেগকে নিয়ে ফায়দা তোলার জন্যে মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও শহীদদের পরিবারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আর এতেই মারাত্মক ক্ষুব্ধ হয়েছেন পুলওয়ামা হামলায় শহীদ বাবলু সাতরাঁর স্ত্রী।
উল্লেখ্য, মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে শহীদদের পরিবারের সঙ্গে রাজনৈতিক কারনে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের পরিবারকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আর এই কারণেই বিজেপির প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বাবলুর স্ত্রী মিতা।
তাঁদের একইসঙ্গে রাজনৈতিক কারণে নিহত কর্মী পরিবারের সঙ্গে নিয়ে যাওয়ায় তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন শহিদ জওয়ান বাবলু সাঁতরার স্ত্রী মিতাদেবী। তাঁদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা দরকার ছিল বলে মনে করেন তিনি। রাজনৈতিক কারণে ‘নিহত’ হওয়া আর পুলওয়ামা হামলায় শহিদ হওয়ার ঘটনাকে এক করে দেখানো কি ঠিক, সেই প্রশ্ন তুলেছেন মিতা।
রাজনৈতিক কারণে ‘নিহত’ পরিবারের সঙ্গে তাঁদের একসঙ্গে নিয়ে যাওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মিতা সাঁতরা বলেন, ‘হাওড়ার বিজেপি সভাপতি অনুপম মল্লিক আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন যাওয়ার জন্য, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্তু দুটো শহিদ এক কিনা সেটা নিয়ে আমার একটু প্রশ্ন আছে। আমার প্রশ্ন আছে, যাঁরা দু’জনকেই শহিদ বলছেন, তাঁদের কাছেও আমার প্রশ্ন আছে, এই দুটো এক করে দেওয়া কি ঠিক? হাওড়ায় এসে জানতে পেরেছি আর কারা কারা যাচ্ছেন। এবং এটা দেখে আমি খুব হতাশ হয়েছি। আমার পক্ষে যদি সম্ভব হত ফিরে যাওয়ার অবশ্যই বাড়ি ফিরে যেতাম। কোনও মতেই এই ট্রেনে যেতাম না। এর সঙ্গে রাজনৈতিক সংস্রব থাকা উচিত নয়। যাতে রাজনৈতিক রং না দেওয়া হয় এটাই চাইব। আমাদের নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াটাও আলাদা হওয়া উচিত। আমরা কেন ওদের সঙ্গে যাব?
মিতা প্রশ্ন তুললেও উত্তর দেবে কে? আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে, যাদের কাছে এই প্রশ্ন, তাঁরা উত্তরের দায়ভার কতটা বহন করতে চাইছেন? আদৌ চাইছেন তো? নাকি সেনাকে নিয়ে রাজনীতিতেই মত্ত গেরুয়া শিবির।