দুদিন ধরেই চলছিল চলছিল বিজেপির অন্দরে গোপন বৈঠক। অবশেষে মন্ত্রী সভার সদস্য বাছাই করে রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে রাইসিন হিলে শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান পর্ব সম্পন্ন হল গতকাল সন্ধেবেলা। প্রায় ৮ হাজার অতিথির সামনে দ্বিতীয়বারের জন্য শপথ নিলেন মোদী। তাঁর সঙ্গে নয়া মন্ত্রীসভায় সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন প্রায় ৫৭ জন। এদের মধ্যে ২৪ জন পূর্ণমন্ত্রী।
তবে এবার মন্ত্রীসভায় হয়েছে অনেক রদ বদল। আগেরবারের ক্যাবিনেট থেকে বাদ গেছে অনেক মুখ। এসেছে নতুন মুখও। উল্লেখযোগ্যভাবে এবার মন্ত্রীসভায় জায়গা করে নিয়েছেন অমিত শাহ।
অসুস্থতার কারণে অরুণ জেটলি মন্ত্রী হতে রাজি হলেন না। গত বারের অর্থমন্ত্রী স্বেচ্ছায় দূরে রইলেন মন্ত্রীত্ব থেকে। প্রথমবারের মোদী মন্ত্রীসভায় কয়েক মাস প্রতিরক্ষামন্ত্রকের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। এছাড়াও উল্লেখযোগ্যভাবে সুষমা স্বরাজও এইবার মন্ত্রীসভায় নেই। শারীরিক কারণে ভোটে লড়েননি গত বারের বিদেশমন্ত্রী। তা সত্ত্বেও তাঁকে রাজ্যসভায় এনে মন্ত্রী করার সম্ভাবনার কথা বলছিলেন অনেকে। কিন্তু বাস্তবে তা হয় নি।
মন্ত্রিসভায় জায়গা হল না উমা ভারতীর। জলসম্পদ, নদী উন্নয়ন, গঙ্গা সংক্রান্ত উন্নতির মন্ত্রকের দায়িত্ব ছিল উমার উপরে। পরে পানীয় জল ও নিকাশি দপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন। মন্ত্রীসভায় জায়গা হল না সুরেশ প্রভুর। মোদীর সরকারে এক সময়ে রেল, পরে শিল্প ও বাণিজ্য এবং অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি৷
জায়গা পেলেন না মেনকা গান্ধীও। লোকসভা নির্বাচনের সময় কিছু মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। তিনি ছিলেন নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী৷ এছাড়াও শিবপ্রতাপ শুক্লা, রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠৌরের, অণুপ্রিয়া পটেলেরও, জে পি নাড্ডার, কে জে আলফন্সের, রাধামোহন সিংহের, এস আলুওয়ালিয়া, মহেশ শর্মার মত আরও এক ঝাঁক মন্ত্রী এবার বঞ্চিতই থেকে গেলেন মোদীর মন্ত্রীসভা থেকে।