#WorldNoTobaccoDay
ধুমপান একটি সিগারেটের মৃত্যুর কারন। সেও হয়তো পাশের সিগারেটের সাথে গা ঘষাঘষি করে এক বাক্সে থাকতে থাকতে সোহাগ করতে চেয়েছিল। থেকে যেতে চেয়েছিল অন্ধকার খোপে আজীবন। জাপ্টে।
যেরকম মুরগিরা চায়। খাঁচাতে বিক্রি বা কাটার আগে। বেঁধে বেঁধে থাকে। সুস্বাদু হওয়ার আগে আবেগপ্রবণ হয়ে। ফ্ল্যাটবাড়ির কোন ডবল ডোর ফ্রিজে ম্যারিনেট হওয়ার আগে।
এভাবেই একটা দেশলাইকাঠি বারুদের সাথে প্রেম করেছিল। বড় সোহাগ করে কাঠিতে বারুদ ডুবিয়ে মিলন ঘটেছিল। তখন চারপাশে অনেক আলো, সানাই, রাত জেগে খুনসুটি। বিদায় বেলায় কাঁদতে হয়, কান্নার জলে আগুন লাগে না। একসাথে অনেকগুলো বছর থাকার অঙ্গীকার করে দুজন।
আগুন না মেনে নেওয়া সম্পর্কের উত্তাপ, সামাজিক চাপ, অনেক কিছু জানতে পারার ভয় থেকে তৈরি করা হয়। নিষিদ্ধ বাতাস আগুনকে লালন করে। ধুমপান বা ফস করে জ্বলে ওঠা যে কোন কিছু, একটি সিগারেট বা দেশলাইবাক্সের মৃত্যুর কারন হয়।
ধুমপান একটি সিগারেটের মৃত্যুর কারন। সিগারেট ক্যান্সারের কারন। কারণসুধা লিভার খারাপের কারন। ধোঁয়া ফুসফুসের। অনেক ধোঁয়া হবে চারধারে এসব ভাবতে। এর মাঝে দাম্পত্য যা কিছু হওয়ার তা হবে ওরই মাঝেই। দমবন্ধ, চটজলদি, আচমকা।
সিগারেট জ্বালানোটা প্রয়োজনীয় না। প্রত্যেকটা সিগারেটকে বেমক্কা মরতে হবে তা কেউ শাস্ত্রে লিখে যায়নি। তাদের ও পাশের সিগারেটের সাথে গা ঘষাঘষি করে থাকতে দিন। ঠোঁটে অমরত্বলাভ করতে দিন। ওর মুখাগ্নি নাই বা হলো। নিকোটিন জাতীয় পরকিয়া প্রেম ঠোঁটে লেগে থাকে, দু আঙুলের মাঝে লেগে থাকে, পাশবালিশে মেখে থাকে তবে দাম্পত্যে লেগে থাকেনা, সিঁদুরে লেগে থাকেনা, দুঃসময়ে বাড়ি ফিরলে মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়াতে থাকেনা। ধুমপান সম্পর্কের জন্য হানিকারক। এটি একটি প্রেমিক সিগারেটের মৃত্যুর কারন।
মতামত লেখকের ব্যক্তিগত