সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন মালা রায়। সাংসদ হিসেবে লোকসভায় নিজের নাম নথিভুক্ত করে মঙ্গলবার কলকাতায় ফিরেছেন মালা রায়। আর বুধবারেই তিনি চলে আসেন পুর ভবনে। মমতার মত তিনিও দায়িত্ব পালনে ত্রুটি পছন্দ করেন না মোটেও।
মালা বললেন, “পুরসভারও কিছু কাজ আছে। সেগুলো তো করতে হবে। তাই সময় নষ্ট না করে চলে এসেছি।’’ এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ পুর ভবনে নিজের ঘরে আসেন তিনি। তার পর থেকেই চেয়ারপার্সনের ঘরে পুরকর্মী ও অফিসারদের ভিড়। সকলেই এসেছেন শুভেচ্ছা জানাতে।
সংসদে ভূমিকা নেওয়ার প্রসঙ্গে মালাদেবী বলেছেন, ‘‘অপশাসনের প্রতিবাদ করে আমরা বাংলায় ক্ষমতায় এসেছি। প্রতিবাদ তৃণমূলের রক্তে। সেই ধারা বহন করে চলব। কলকাতা তথা বাংলাকে উপেক্ষা, অবহেলা করা হলে প্রতিবাদ জানাব।’’ এর পরেই বলতে থাকেন, ‘‘কেউ কেউ সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ তুলছে আমাদের দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কিন্তু দক্ষিণেশ্বর, তারাপীঠ, কঙ্কালীতলা, তারকেশ্বরের পাশাপাশি নাখোদা মসজিদ, পাথরচাপুড়ির উন্নয়ন কখনওই তা প্রমাণ করে না। এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী মানুষ এ সব অপপ্রচার চালাচ্ছে।’’ এ সব বেশি দিন চলবে না বলেই তাঁর বিশ্বাস।
সাংসদ হয়ে কতটা খুশি? প্রশ্নটা শুনে আর কান্না চাপতে পারলেন না মালাদেবী। বললেন, ‘‘জানেন, ভোটে জেতার খবরটা ওকে জানাতে পারিনি। আমার ছোট বোন টুটুল। মাত্র কয়েক দিনের অসুস্থতায় কোমায় চলে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার ভোটের ফল যখন বেরোচ্ছে, তখন বোন ভেন্টিলেশনে। শনিবার মারা যায়। ভোটে দাঁড়ানোর পরে বলেছিল, দিদি তুই জিতবি।’’ কয়েক মিনিট একদৃষ্টিতে বোনের ছবির দিকে তাকিয়ে কেঁদে গেলেন। তার পরে বললেন, ‘‘একটাই আফশোস, ভোটে জেতার খবরটা টুটুল জানতে পারল না।’’