সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পর এবার সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনায় গতি আনতে উদ্যোগী হল খাদ্য দফতর। নতুন বোরো ধান উঠে যাওয়ায় এখন কৃষকরা সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে আগ্রহী হবে বলে দফতর মনে করছে।
বুধবার খাদ্য ভবনে ধান সংগ্রহ নিয়ে বৈঠক করেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিনের বৈঠকে ফুড কমিশনার মনোজ আগরওয়াল ছাড়াও ইসিএসসি, বেনফেড, কনফেড সহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, খাদ্য দফতরের স্থায়ী ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে ধান কেনা চলবে। পাশাপাশি সরকারি সংস্থাগুলিও গ্রামের সমবায় সংস্থার মাধ্যমে অস্থায়ী শিবির খুলে ধান কিনবে। অস্থায়ী শিবিরগুলি প্রত্যন্ত গ্রামে খোলা হয়। তাই এখানে কৃষকরা যেতে বেশি আগ্রহী হন।
খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় চাহিদার তুলনায় কম ধান সংগ্রহ হয়েছে। সেই অঞ্চলগুলিতে ধান সংগ্রহ বাড়ানোর উপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, বীরভূম, বাঁকুড়া সহ কয়েকটি জেলায় চাহিদার তুলনায় বেশি ধান সংগ্রহ হয়েছে। যেই জেলাগুলিতে চাহিদার থেকে কম ধান সংগৃহীত হয়েছে সেখানে অন্য জেলা থেকে চাল সরবরাহ করে রেশনের চাহিদা মেটাতে হবে। দ্বিতীয় দফায় ঘাটতি থাকা জেলাগুলিতে ধান সংগ্রহের পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সরকারি উদ্যোগে প্রায় ৩৪ লক্ষ টন ধান সংগ্রহ হয়েছে।
আগামী এক বছর রেশনের চাহিদা মেটানোর জন্য প্রয়োজনীয় চাল এখন খাদ্য দফতরের কাছে মজুত আছে। তা সত্ত্বেও ধান সংগ্রহে খামতি দিতে চাইছে না খাদ্য দফতর। কারণ সরকারি উদ্যোগে সংগ্রহ কম হলে এবং খোলা বাজারে ধানের দাম কমে গেলে কৃষকদের ক্ষতি হবে। কৃষকরা যাতে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন না হয়, তাই এমন উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী।