বলতে গেলে প্রায় একা হাতে দল তৈরির কারিগর তিনি। সংগঠন তৈরি থেকে তা মজবুত করা সবই সামলেছেন তিনি। দল তৈরির পর থেকেই একের পর এক বাধা অতিক্রম করেছেন তিনি। একসময়কার বামেদের অরাজকতার বিরুদ্ধে সমস্ত প্রতিরোধ করেছেন তিনি। আজ তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজও একই রকম। রাজ্য জুড়ে যখন গেরুয়া সন্ত্রাসে তটস্থ মানুষ, তখন তাঁদের পাশেই দাঁড়ালেন জন নেত্রী। লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন কিংবা তাঁর পরবর্তী সময়ে বাংলার যে সমস্ত জায়গায় গেরুয়া সন্ত্রাস দেখা গেছে তার মধ্যে অন্যতম নৈহাটি ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল।
কয়েকদিন ধরে এই অঞ্চলগুলিতে নানারকম অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছিল। তার পাল্টা জবাব দিলেন মমতা। এদিন নৈহাটিতে ধর্নায় বসেছিলেন তৃণমূলের নেতারা। সেখানেই যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বিজেপিকে তুলোধনা করলেন তিনি। এদিন সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যে কাউকে গোলমাল করতে দেবো না। বরং রাজ্যের মানুষকে একসঙ্গে নিয়ে লড়াই করব, কিন্তু সাধারণ মানুষের উপর এই অত্যাচার সহ্য করব না।’
শুধু তাই নয়। দলের কর্মীদের ব্লক স্তরে জয়হিন্দ বাহিনী তৈরি করার পরামর্শ দেন জননেত্রী। তিনি বলেন যে ছেলেদের নিয়ে ব্লক স্তরে এক একটি দল তৈরি করতে। জয় হিন্দ বাহিনী নামে সেই বাহিনী তৈরি করবেন ছাত্র যুবরা। শুধু ছেলেরা নয়। মেয়েরাও সবসময় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন তৃণমূলের সংগঠন মজবুত করতে। তাই এইবার এই গেরুয়া সন্ত্রাস রুখতেও মহিলাদের অগ্রণী ভূমিকা নিতে বললেন বাংলার অগ্নিকন্যা। বঙ্গ জননী বাহিনী তৈরি করার কথা বলেন তিনি। সেখানে মেয়েদের সংগঠিত করে বিজেপিকে প্রতিরোধ করার কথা বলেছেন তিনি। একেবারে ব্লক স্তর থেকে এই লড়াইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
নৈহাটির সভায় মমতা এও বলেছেন, দ্রুত ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর পুলিশ যদি এই বিষয়ে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে পুলিশের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন মমতা। মমতাকে এই রকম রুদ্রমূর্তিতে দেখা গেল আজ নৈহাটিতে।