‘বিজেপিকে আমি ঘৃণা করি’ – আজ, বৃহস্পতিবার নৈহাটির সত্যাগ্রহ সভায় গিয়ে ঠিক এই ভাষাতেই বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নৈহাটি পুরসভার সামনে সত্যাগ্রহ মঞ্চের আয়োজন করেছে তৃণমূল। ঘরছাড়াদের ফেরাতে সেখানেই হাজির হন মমতা। সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ছোট করব না। আপনারা অনেক অত্যাচারিত হয়েছেন। বিজেপির টাকায় কিছু লোক মাথায় ফেট্টি বেঁধে তাণ্ডব চালিয়ে বেড়াচ্ছে। অত্যাচার চালাচ্ছে গদ্দাররা। বিজেপিকে আমি ঘৃণা করি।’ সকলের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, ‘সবাইকে বলব, বুঝে চলুন, মাথা খাটিয়ে চলুন। বিজেপির টাকায় নিজেদের মান-ইজ্জত খোয়াবেন না।’
স্থানীয় নেতৃত্বকে মমতার নির্দেশ, ‘যাদের ঘর ভাঙা হয়েছে, তিনদিনের মধ্যে তার একটি তালিকা আমার চাই। ক্লাব ভাঙা হয়ে থাকলে, তা আমরা আলাদা করে বুঝে নেব। আমি এখান থেকে চলে যাওয়ার পর যদি একটাও অত্যাচার হয়, আমি বুঝে নেব। যত বড়ই নেতা হোক না কেন, এলাকায় একটা বোমাও বরদাস্ত করব না আমি। এখন আমার হাতে সব কিছু, কাউকে ছাড়ব না।আমি রেগে গেলে কিন্তু ভয়ঙ্কর।’ ইচ্ছাকৃত ভাবে বিজেপি বাঙালি-আবাঙালির মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ তোলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘আমি বিভাজনের রাজনীতি করি না। কখনও বাঙালি-আবাঙালি, হিন্দু-মুসলিম, শিখ-খ্রিস্টানদের মধ্যে বিভেদ করিনি।’ ব্যারাকপুর আসনটি তিনি পুনরুদ্ধার করে ছাড়বেন বলেও জানিয়ে দেন মমতা।
আজ শপথ গ্রহণের দিনই মোদীকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘মোদীবাবু আপনি ৩০০ আসন পেয়েছেন, ভাল করে সংসদ গড়ুন। কিন্তু বাংলায় সন্ত্রাসবাদী ঢুকিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির চেষ্টা করবেন, এ আমি হতে দেব না। কাল নবান্নে অনেক পরিবার গিয়েছিল আমার কাছে। শুনলাম বাঙালি মেয়ের হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করেছেন গোপাল নামের একজন। সে নাকি সেবা দল করে। শপথ নেওয়ার আগেই এত অত্যাচার। তাহলে শপথ নেওয়ার পর কী হবে।’ এদিন নির্বাচন কমিশনকেও ফের আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আসলে বিজেপির মুখপাত্র হিসাবে কাজ করেছে। অত্যাচার এবং নির্যাতন নিয়ে ৪০০ এফআইআর হয়েছে। কিন্তু কিছু করেনি কমিশন।’ সবশেষে মমতার সাফ কথা, ‘আমি জয় বাংলা, জয়হিন্দ হাজার বার বলব। ফোনে বা রাস্তায় দেখা হলে বলবেন, আমিও জয়হিন্দ, জয় বাংলা বলব। কিন্তু বাইরে থেকে কেউ সংস্কৃতি তুলে এনে দেবে, তা হবে না।’