শুরু হয়ে গেল বিজেপির শরিকদের মধ্যে মনোমালিন্য। সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দিল্লীর মসনদে ফিরেছেন মোদী। আগামীকালই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। আর তার আগেই বেসুর বিজেপি শরিক আরএসএস ও শিবসেনাদের গলায়। আবার তাঁরা চাপ দিতে শুরু করেছে মোদীকে। শরিক চাপ শুরু? গত দুদিনের ঘটনাপ্রবাহ সেদিকেই ইঙ্গিত করছে৷ রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ বা আরএসএসের রাম মন্দির ইস্যুতে মুখ খোলার পরেই এই নিয়ে সরব হল এবার শিবসেনা৷
এদিন রাম মন্দির গঠন নিয়ে মোদী সরকারের কর্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে শিবসেনা৷ তাঁরা বলেছে এই সময়েই রাম মন্দির গঠন করা উচিত মোদী সরকারের৷ শিবসেনার মত রাম মন্দির গঠনই মোদী সরকারের প্রথম ও প্রধান কর্তব্য হওয়া উচিত৷ কারণ এই ইস্যুকে সামনে রেখেই বিপুল জনাদেশ পেয়েছে বিজেপি৷ প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার জন্যে রামমন্দিরকে হাতিয়ার করেছিল বিজেপি। অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে গত পাঁচ বছরেও কোনও কাজই সে অর্থে এগোয়নি।
শিবসেনা তাঁর মুখপত্র সামনাতে লিখেছে লাখো কর সেবক নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে রাম মন্দিরের জন্য৷ বিজেপির সেই বলিদান মনে রাখা উচিত৷ তাঁদের আত্মবলিদান যাতে বিফলে না যায়, তার চেষ্টা করা উচিত মোদী-শাহের৷
শিবসেনার আগেই এই ইস্যু নিয়ে সরব হয়েছিল আরএসএস। মোদীকে বার্তা দিয়ে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলে, ‘রামের কাজ করতে হবে, করতেই হবে।’ উদয়পুরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আগে রামের কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে আমাদের নিজেদেরকে দায়িত্ব নিতে হবে এই কাজের জন্য।’
প্রশিক্ষণ শিবির উপলক্ষে গত শুক্রবার থেকে উদয়পুরে ছিলেন আরএসএস প্রধান। সেখানে অধিকাংশ বক্তাই অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির গড়ার কথা তুলে ধরেছেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও, বিষয়টি এখনও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে।