বৃহস্পতিবার দিল্লীর মসনদে বসতে চলেছেন মোদী। এইদিন রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে মোদী দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন। তাঁর সঙ্গে শপথ নেবেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। কিন্তু এই মন্ত্রিসভা নিয়ে যখন বিজেপি নেতৃত্ব আনন্দিত তখন নিজেকে সরিয়ে নিতে চাইলেন গতবারের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। মোদীকে চিঠি দিয়ে তাঁর ইচ্ছার কথা জানিয়ে দেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে মন্ত্রীত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন জেটলি। এদিন মোদীকে লেখা চিঠির প্রতিলিপি টুইট করে একথা জানান জেটলি।
মোদীকে চিঠিতে জেটলি লিখেছেন যে গত ১৮ মাস ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন তিনি। তাই চিকিৎসার স্বার্থেই তিনি মন্ত্রীত্বের মতো বড় দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে চান না। প্রসঙ্গত, প্রথম মোদী সরকারে অর্থমন্ত্রকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন জেটলি। তাঁর আমলেই জিএসটি পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। কালো টাকা রুখতে মোদী সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের সময়ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ছিলেন জেটলি। নোট বাতিল ও জিএসটি, এই দুই বড় পদক্ষেপে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন জেটলি।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, অরুণ জেটলি সরে দাঁড়ানোয় এবার অর্থমন্ত্রক পেতে চলেছেন পীযূষ গোয়েল। কারণ, তিনি রেলের সঙ্গে অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন বাজেটের সময়। প্রথম মোদী সরকারের শেষ বাজেট তিনিই পেশ করেন। এখন প্রশ্ন উঠছে, পীযূষ যদি অর্থমন্ত্রী হন, তাহলে রেলমন্ত্রী কে হবেন? পীযূষই দু’টি দায়িত্ব একসঙ্গে সামলাবেন, নাকি অন্য কেউ এই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব পাবেন?