বিদ্যাসাগর কলেজে মূর্তি ভাঙার ঘটনায় কে বা কারা মূর্তি ভেঙেছে, কারা জড়িত, কীভাবে ঘটনা ঘটল – এসব কিছুর সত্য উদ্ঘাটনে যখন তেড়েফুঁড়ে মাঠে নেমেছে রাজ্য সরকারের গঠিত ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি, তখন শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা করে দিলেন যে বিদ্যাসাগরের ভেঙে যাওয়া মূর্তিটি গড়ে দেবে রাজ্য সরকারই৷ সেইসঙ্গে জুড়লেন, প্রেসিডেন্সির প্রবেশপথেও বসবে মূর্তি৷ তবে তা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের৷
প্রসঙ্গত, গত ১৪ মে বিজেপির গুন্ডাবাহিনীর দাপটে উত্তপ্ত হয়েছিল কলকাতা। ওইদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন গেরুয়া দলের কর্মী-সমর্থকরা। অমিত শাহের রোড শো শুরুর আগে ধর্মতলায় নির্বাচন কমিশনের গাড়িতে ভাংচুর চালানো হয়। তারপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজস্ট্রিট ক্যাম্পাস শেষে সেই আক্রোশে বাদ গেল না বিদ্যাসাগর কলেজ। ভাঙা পড়ে বিদ্যাসাগরের মূর্তিও।
এমনকী ১৯ মে, কলকাতায় শেষ দফার নির্বাচনের আগে মূর্তি একটি ইস্যু হয়ে উঠতে চলেছে, এমন ইঙ্গিতও ছিল৷ ভোটবাক্সে তা কতখানি প্রভাব ফেলেছে, সে সম্পর্কে বিশদ তথ্য না মিললেও, ভোটের ফল অনুযায়ী, ওই লোকসভা কেন্দ্রের রায় গিয়েছে তৃণমূলের পক্ষেই৷ কাজেই বিদ্যাসাগরের ভগ্ন মূর্তিকেই ফ্যাক্টর ধরছেন অনেকে৷ আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে রাজ্য সরকার।
তার জেরেই আজ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় একাধিকবার ঘোষণা করেছেন, বিদ্যাসাগর কলেজে শুধু ভাঙা মূর্তিটি নতুন করে গড়ে দেওয়া হবে, তাই-ই নয়৷ সেখানে পূর্বপরিকল্পনামতো বিদ্যাসাগরের নামে তৈরি করা হবে মিউজিয়াম৷ মঙ্গলবার তিনি বাড়তি ঘোষণা করেন, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথেও বসানো হবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রস্তরমূর্তি৷ আর একাধিকবার রাজ্যের তরফে এমন ঘোষণা একটা বিষয় ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছে৷