শেষ ভালো যার, সব ভালো তার’- এই প্রবাদ মানলে মরসুমটা একেবারে ভালো যায়নি মেসিদের। হার দিয়েই শেষ হল মেসিদের কোপা দেল রে-র মরশুম৷ কাজে এল না মেসি ম্যাজিক৷
ম্যাচের ২১ মিনিটে বার্সেলোনা রক্ষণে ভুলের সুযোগ নিয়ে প্রথম ভ্যালেন্সিয়াকে এগিয়ে দেন তাঁদের ফরাসি ফরোয়ার্ড কেভিন গামেহো। ৩৩ মিনিটে ফের ভ্যালেন্সিয়ার হয়ে ব্যবধান বাড়ান রদ্রিগো। প্রথমার্ধে ম্যাচের ফল ছিল ভ্যালেন্সিয়ার পক্ষে ২-০। এই অর্ধে মেসি অনেকটাই নিষ্প্রভ ছিলেন। কিন্তু ০-২ পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে তেড়েফুঁড়ে খেলতে শুরু করে বার্সেলোনা। ৭৩ মিনিটে কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে ভ্যালেন্সিয়া বক্সে হেড নিয়েছিলেন জেরার পিকে। সেই হেড পোস্টে লেগে ফিরলে, তা গোলে ঠেলে দেন মেসি। খেলা শেষে হতাশ মুখে মাঠেই দাঁড়িয়েছিলেন মেসি। তাঁকে সান্ত্বনা দিতে থাকেন লুইস সুয়ারেস।
সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়েছে, লুইস সুয়ারেস না থাকায়। চোটের জন্য মাঠের বাইরে। বারবার গোলের কাছে পৌঁছেও শেষ পর্যন্ত গোলটা হয়নি। গোটা ম্যাচে ৭৭ শতাংশ বল পজেশন, ছ’টা লক্ষ্যে শট থাকলেও গোল করতে পারেননি। কেউ কেউ বলছেন, ‘বার্সা কোচের টিম সাজানোটাই ঠিক হয়নি। সুয়ারেস বিকল্পের কথা আগে ভাবা উচিত ছিল।’ কিন্তু যা হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে। বারবার মেসির হতাশ মুখে ছবি ধরা পড়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দগদগে স্মৃতি মেলানোর আগেই ফের একটা হারের জ্বালা নিয়ে মরসুম শেষ করতে হয়েছে।
ভ্যালেন্সিয়া অবশ্য ২০০৮ সালের পরে ফের কোপাতে চ্যাম্পিয়ন হল। এ নিয়ে আটবার। ২১ মিনিটে গামেইরোর গোল একেবারে খেলার গতির বিরুদ্ধে। ১২ মিনিট পর ফের রদ্রিগোর গোল। বার্সেলোনার গোটা ডিফেন্সকে দাঁড় করিয়ে। বার্সেলোনাকে হারিয়ে আকাশে বালেন্সিয়ার কোচ মার্সেলিনো গার্সিয়া। তাঁর কথায়, ‘আমাদের মরসুমের শুরুটা ভালো হয়নি। কিন্তু টিমের ফুটবলারদের মনোবল নষ্ট হয়নি। এটাই বড় পাওনা। আমি সত্যিই খুশি।’