সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া সন্ত্রাস, ইভিএম কারচুপি, নির্বাচন কমিশনের বিজেপির প্রতি পক্ষপাতিত্ব, টাকা বিলি, রাম-বাম আঁতাত ইত্যাদি বিষয় নেপথ্য থেকে বাংলায় বিজেপি কিছুটা আসন দখল করেছে। কিন্তু তারপরই যেন তাল কেটে গেছে বাংলার বিজেপির অন্দরে। আর সেই কাজটা করলেন বসিরহাটের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু।
শনিবার দল বেঁধে বাংলা থেকে বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা যখন দিল্লির বিমানে চেপে বসছেন, তখন ফেসবুক-বার্তায় কার্যত রাজনীতি থেকেই অবসরের ইঙ্গিত দিয়েছেন সায়ন্তন। তাঁর এই ফেসবুক পোস্ট ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিজেপির অন্দরে। তিনি লিখেছেন, ‘অনেক চেষ্টা করেও আমাদের গাড়ি চলেনি। এখন গাড়ি ফুল গিয়ারে। এই অবস্থায় গাড়ির মধ্যে বসে আছেন এমন কারও হাতে আমার ব্যাটন তুলে দিতে চাই। আমার আদর্শগত দায়বদ্ধতা আমি সমাজসেবায় ব্যবহার করতে চাই।’
পরোক্ষভাবে, সায়ন্তন সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলেই মনে করছেন বিজেপির একাংশ। এই পোস্ট সম্পর্কে সায়ন্তনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘বসিরহাট কেন্দ্র আমি ভালো ভাবে চিনতাম না। তবুও আমাকে ওই কেন্দ্রে টিকিট দেওয়া হয়েছিল। যা কিছু বলার দলকে বলব।’ আর তাতেই প্রকাশ্যে এসেছে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল, মত বিরোধ।
প্রসঙ্গত, বসিরহাট কেন্দ্রে তাঁর নাম ঘোষণার পর ঘনিষ্ঠ-মহলে ক্ষোভও উগরে দিয়েছিলেন তিনি। সায়ন্তন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক। সূত্রের খবর, তিনি পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার মতো সম্ভাবনাময়, নিদেনপক্ষে বারাসত, দমদমের মতো কোনও আসনে লড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণেই সায়ন্তনকে বসিরহাটে পাঠানো হয় বলে মানছেন বিজেপির একাংশও।