একেই বোধহয় বলে কাকতালীয়। যেদিন দেশ জুড়ে উঠল গেরুয়া ঝড়, সেদিনকেই শোনা গেল আসন্ন বিশ্বকাপে গেরুয়া জার্সি পরে মাঠে নামতে চলেছেন বিরাট কোহলিরা। সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন উঠল তাহলে কি মোদী ঝড়ের প্রভাব পড়তে চলেছে খেলার মাঠেও?
না, এই ঘটনার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক যোগাযোগ নেই। আসলে ফুটবলের মতোই এবার ক্রিকেট বিশ্বকাপে হোম-অ্যাওয়ে কিট সিস্টেমের আত্মপ্রকাশ হতে চলেছে। সব দলকে অবশ্য এই নিয়ম মানতে হচ্ছে না। ব্যাপারটা পরিষ্কার করা যাক। ইংল্যান্ডের মাটিতে বিশ্বকাপ। তারা তাই ট্র্যাডিশনাল ড্রেস পরেই খেলবে। হোম টিমের অ্যাডভান্টেজ পাবে। ১৯৯২-এ যে জার্সি পরে তারা খেলেছিল, তেমনই দেখতে তাদের এবারের বিশ্বকাপ জার্সি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারত যে ম্যাচ খেলবে সেখানে কোহলিদের গেরুয়া রংয়ের নতুন জার্সি পরতে হবে। না পুরো গেরুয়া সাজসজ্জা নয়। জার্সির সামনেটা গাড় নীল রংয়ের হলেও হাতা কমলা। জার্সির পিছনে কমলা রংয়ের আধিক্য খুব বেশি। ঠিক হয়েছে এই নতুন জার্সি পরে ইংল্যান্ড ছাড়াও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে নামবেন কোহলিরা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হোম টিম হিসাবে ট্র্যাডিশনাল জার্সিই পরে খেলবে বিরাটরা। সেক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার জার্সির রং বদলে যাবে।
একই ম্যাচে নীলে-নীলাকার হওয়া আটকাতেই আইসিসি এমন নিয়ম করেছে তা নয়। যে টিমগুলো সবুজ জার্সি পরে খেলবে তাদের ক্ষেত্রেও অ্যাওয়ে কিটের ব্যবস্থা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। পাক টিমকে হয়তো জার্সির রং বদলাতে হবে না। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হোম টিম হিসাবে নামার অ্যাডভান্টেজ পাচ্ছে তারা। সেক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশকে অ্যাওয়ে টিম হিসাবে খেলতে হবে হলুদ রংয়ের জার্সিতে। এমন জার্সি ঝঞ্ঝাটে অবশ্য পড়তে হচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো টিমগুলো। গোটা টুর্নামেন্টে তারা নিজেদের ঐতিহ্যশালী জার্সি পরেই নামতে পারবে।
গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে একদিনের সিরিজের সিরিজের আগে ভারতের বিশ্বকাপ কিটের প্রকাশ হয়েছিল। সেই জার্সি পরে বিরাটরা খেলেওছেন। নাইকির তরফ থেকে এরপর বিশ্বকাপে অ্যাওয়ে কিটের জন্য নতুন জার্সির প্রস্তাব দেওয়া হয়। আইসিসি তাতে সবুজ সংকেত দিয়েছে। নতুন জার্সি কেমন দেখতে? বিবরণ পাওয়া গেলেও ছবি সামনে আসেনি।