ধ্যানে বসেছিলেন শনিবার সন্ধেয়। রবিবার ভোটের দিন সকালে ধ্যান ভাঙল৷ ধ্যানভঙ্গ করেই নরেন্দ্র মোদী বেরিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলেন৷ কথা বলেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও। যার পুঙ্খানুপুঙ্খ সম্প্রচারিত হচ্ছে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স সংবাদমাধ্যমে। আর এখানেই আপত্তি জানাল তৃণমূল।
তাদের অভিযোগ, শেষ মুহূর্তে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল। তৃণমূলের আরও অভিযোগ, নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের ধর্মীয় যাত্রা আচরণ বিধি লঙ্ঘনের সামিল। এমনকি কেদারনাথে গিয়ে প্রকাশ্যে মাস্টার প্লান নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েও নির্বাচনী আইনবিরুদ্ধ কাজ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। পরিকল্পিতভাবে মোদীর প্রতি মুহূর্তের ছবি সম্প্রচার করে প্রকারন্তে ভোটারদের প্রভাব করানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
ভোটের প্রচার শেষ করেই গতকাল তীর্থদর্শনে বেরিয়ে পড়েন মোদি। যদিও, খাতায় কলমে তাঁর এই সফর সরকারি সফর হিসেবেই নির্ধারিত। কেদারনাথে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ খতিয়ে দেখতে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু, নির্বাচনের মাঝখানে কীভাবে মোদি সরকারি কর্মসূচির অনুমতি পেলেন তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে বিরোধী শিবিরে। নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রীকে কেদারনাথ সফরের অনুমতি দিলেও তাঁকে নির্বাচনী বিধি সংক্রান্ত বিষয়গুলি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
রধানমন্ত্রীর এই সরকারি কর্মসূচি নিয়েই আপত্তি তৃণমূল কংগ্রসের। তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি কর্মসূচি যেভাবে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হচ্ছে তাতে ভোটাররা প্রভাবিত হতেই পারেন। তাই কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল।