শেষ দফার ভোটে একাধিক জায়গায় ভোটারদের প্রভাবিত করা এবং সাধারণ ভোটারদের বিজেপির হয়ে ভোট দিতে বলার অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। এমনকী কথা না শুনলে মারধরের অভিযোগও উঠেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই ‘অসভ্যতা’-র হাত থেকে রেহাই পাননি প্রতিবন্ধীরাও। তাঁদেরকেও বেদম মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
বেশ কিছুদিন ধরেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলছিলেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সপ্তম দফার ভোটেও একাধিক জায়গায় এবার সেই অভিযোগ তুললেন সাধারণ মানুষ।
রবিবার বাংলায় শেষ দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগটি আসে জয়নগর থেকে। পূর্ব ভাঙনখালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাধারণ ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকরা এর প্রতিবাদও করেন। বেশ কিছুক্ষণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে স্থানীয়দের বচসাও হয়। বারাসত এবং দমদম কেন্দ্রেও একাধিক জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠছে। বারাসতে বুথেই তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারের সঙ্গে প্রকাশ্যে বচসায় জড়াতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। অভিযোগ, সাধারণ ভোটারদের নানাভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে।ইতিমধ্যেই, পুলিশ পর্যবেক্ষক এবং জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূল প্রার্থী।
সবথেকে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে কামারহাটিতে। সরাসরি তৃণমূল সমর্থকদের হুমকি দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে গালিগালাজ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ শাসকদলের। সিআরপিএফ জওয়নাদের এই আচরণে রীতিমতো ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখান। সিআরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গে বচসায় জড়ান। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলে রয়েছেন কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানও। ভাটপাড়া উপনির্বাচনেও কেন্দ্রীয় বাহিনী পক্ষপাতিত্ব করছে বলে অভিযোগ তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্রের। একাধিক জায়গায় বাহিনীর সঙ্গে বচসায় জড়ান তিনি। কাঁকিনাড়া হাইস্কুলের ৩৭ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থীর বচসা তুমুল আকার নেয়৷
ডায়মন্ডহারবার লোকসভার নূরপুর হাই মাদ্রাসার বুথে যান্ত্রিক কারণে ভোট দেরিতে শুরু হয়৷ বিরক্ত হয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ভোটাররা৷ চিৎকার করতে শুরু করেন তাঁরা৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা লাঠিচার্জ শুরু করে বলে অভিযোগ৷ গুরুতর জখম হন বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন এক ভোটার৷ তাঁকে সরিষা গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে৷ ঘটনার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে ঘিরে বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। কামদুনিতেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর অতিসক্রিয়তার অভিযোগ। বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বসেছিলেন, পাশেই খেলছিল কয়েকটি শিশু। অভিযোগ তাদের লক্ষ্য করে লাঠিচার্জ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এখানেও আহত হন একজন বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তি।