ভারতবর্ষ সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ। আর ভারতবাসী তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন শুধু ভোট দিয়ে। মানুষের ভোটই ঠিক করে দেয় কে রাজ্য বা দেশে সরকার গড়বে। সেই অধিকার প্রয়োগ করতে মানুষ তৎপর। কিন্তু নিজের এই অধিকার প্রয়োগ করতেই প্রাণ গেল দেশের এক নাগরিকের। এই নজিরবিহীন ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার সাতগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের রানিয়া কাস্ট পাড়ায়। লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফায় ভোট কেন্দ্র থেকে ১০০ মিটার দূরে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধের। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম অধীর মণ্ডল (৭০)।
রবিবার শেষ দফার ভোটে বেশ কিছু জায়গায় নির্দিষ্ট সময়ের আড়াই ঘণ্টা পরেও ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু না হওয়ার খবর পাওয়া যায়। মৃত অধীর মণ্ডলের পরিবারের অভিযোগ, এ দিন ভোট দিতে এসে গরমে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল অধীরবাবুকে। তীব্র গরমে সানস্ট্রোকেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ বৃদ্ধের পরিবারের। এ দিন অচৈতন্য অবস্থায় অধীর মণ্ডলকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
গোটা ঘটনায় নোদাখালি থানায় অভিযোগ জানিয়েছে মৃতের পরিবার। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে বৃদ্ধের দেহ। রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এত বয়স্ক মানুষ তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার বজায় রাখতে এসেছিলেন কিন্ত এইরকম ব্যক্তিদের জন্য কোনো আলাদা ব্যবস্থা নেয় নি কমিশন। সাধারণ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন কমিশনরে ব্যবস্থাপনাকে। গণতন্ত্রের মৃত্যু শোনা যায় কিন্তু গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে নিজের প্রাণ দিয়ে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এক উদাহরণ তৈরি করেলেন এই ব্যক্তি।