রানি রাসমণির দুশো বছরের বেশি জানবাজারের বাড়িতে দেখা দিল ফাটল। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের ফলেই হেরিটেজ এই বাড়িতে ফাটল দেখা গেছে। হেরিটেজ স্বীকৃতি পাওয়া এই বাড়িটির ফাটলের জন্য অভিযোগও দায়ের করেছেন রানি রাসমণির পরিবারের উত্তরসূরীরা। তবে চাঙড় খসে পড়ায় কেউ জখম হননি৷ তবে বড়সড় বিপদ যাতে না হয় তাই ওই বাড়িতে ফাটল দেখা যাওয়ার পরই বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১টা নাগাদ হঠাৎই ওই বাড়ির চাঙড় খসে পড়তে থাকে। মাটির তলা দিয়ে মেট্রো টানেল তৈরির কাজের জন্য হঠাৎই বাড়িটি কাঁপতে শুরু করে। তারপরই বাড়িটির দেওয়ালে ফাটল দেখা দেয়। আতঙ্কিত হয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে ফোন করেন বাড়ির সদস্যরা। খবর পাওয়া মাত্র মেট্রোর ইঞ্জিনিয়াররা এসে তড়িঘড়ি ওই বাড়ির বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে দেন। তারপরই মেট্রো কর্তৃপক্ষ রাত আড়াইটে নাগাদ রাসমনির বাড়ির ১৩ জন সদস্যকে শহরের একটি হোটেলে স্থানান্তরিত করে।
রানি রাসমণির এই বাড়িটি ১৮০৫ সালে নির্মাণ করা হয়। এই বাড়িটি রাসমণির বসতভিটে নয়৷ তবে তা কাছারি বাড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হত। ব্যবসা ও জমিদারির কাজ দেখতে এখানে রানি রাসমণি প্রায় রোজই আসতেন। ঠাকুরদালানও রয়েছে এই বাড়িটিতে৷ যেখানে এখনও দুর্গাপুজো হয়। বাড়িটিতে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব সখীবেশে দুর্গাপুজো করতেন। ফলে ঐতিহাসিকভাবে এই বাড়ি যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ৷ প্রসঙ্গত, জানবাজারে রানি রাসমণি ও সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি রোডের সংযোগস্থলে ওই বাড়িটি ২০০ বছরেরও বেশি পুরনো।