রাত পোহালেই সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোটগ্রহণ। তারপরই ঠিক হয়ে আগামী পাঁচ বছরের জন্য দিল্লীর মসনদ কে দখল করবে। তার মধ্যেই রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন বিজেপি-সিপিএমের আঁতাত নিয়ে। ‘গ্রেপ্তার হতে পারেন দলের বেশকিছু নেতা’৷ কুড়িয়ে পাওয়া একটি চিঠির ভিত্তিতে এমনই আশঙ্কা করলেন তিনি।
তাঁর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নাগেরবাজারের গোপন বৈঠক করেছেন বিজেপি-সিপিএম নেতারা৷ সেখানে লক্ষাধিক টাকার লেনদেন হয়েছে৷ এবং কামারহাটির সিপিএম বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে এই সমস্ত ষড়যন্ত্র হয়েছে৷ তিনি আরও অভিযোগ করেন যে তিনি যে খাম পেয়েছেন তার উপর লেখা রয়েছে মানস মুখোপাধ্যায়ের নাম৷ তাতে রয়েছে এলাকায় বিজেপি কীভাবে টাকা ছড়াচ্ছে তার সমস্ত হিসাব৷
খাদ্যমন্ত্রী আরও জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দমদম কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্যকে জেতানোর জন্য ওইদিন সিপিএমের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়৷ লক্ষাধিক টাকা তুলে দেওয়া হয় সিপিএম নেতাদের হাতে৷ সিপিএম কর্মীরা যাতে বিজেপিকে ভোট দেয় এবং বাম নেতারা যাতে পদ্ম শিবিরের হয়ে ভোট করায় সেই চুক্তিই হয় ওই রাতে৷ পাশাপাশি রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন, সপ্তম দফার নির্বাচনের আগেই তৃণমূলের কিছু নেতা গ্রেপ্তার হতে পারেন এবং এর পিছনেও বিজেপির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন তিনি৷
শেষ তথা সপ্তম দফার লোকসভা ভোট। আর সেখানে রাজ্যে দমদম লোকসভা কেন্দ্রেও ভোটগ্রহণ। সেই আবহে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের এই অভিযোগ যথারীতি আলোড়ন ফেলবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।