সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের জন্যে প্রচার শেষ হয়েছে গতকালই। গতকাল ক্যানিং পূর্বের কালিকাতলায় জয়নগরের তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডলের সমর্থনে শেষ নির্বাচনী সভা করলেন কলকাতার মহানাগরিক ফি্রহাদ হাকিম। সভামঞ্চ থেকে কমিশনকে মোদী-অমিতের পোষা তোতা বলে অভিহিত করলেন হাকিম।
বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, “ওরা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙেনি, ওরা বাঙালির হৃদয়কে ভেঙেছে। বাঙালি সংস্কৃতিকে ভেঙেছে। কিছু লোক বিহার ও উত্তরপ্রদেশ থেকে এসে এখানে মস্তানি করবে, আমরা তা হতে দেব না। আমরাও হাতে চুড়ি পরে বসে নেই। এটা নজরুল, রবীন্দ্রনাথের বাংলা। এটাকে এত সহজে ভাগ করা যাবে না”।
মোদীকে কটাক্ষ্য করে মেয়র আরও বলেন, “এ রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি দিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে বিজেপি। বিভিন্ন ভিডিও ভাইরাল করছে। দাঙ্গা লাগানোর পরিকল্পনা করছে। সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে ভোট ভাগ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমাকে বলছে পাকিস্তানি। আমি কখনও মিনি পাকিস্তানের কথা বলিনি। অমিত শাহ রাজ্যে এসে এনআরসি–র কথা বলছেন। তারও সমালোচনা করেন মন্ত্রী। বলেন, এনআরসি করলে এ রাজ্যের মানুষের অবস্থা হবে রোহিঙ্গাদের মতো। তাই এ রাজ্যে কখনও এনআরসি হতে দেব না”।
একদিন আগে প্রচারের সময়সীমা শেষ করা নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। সংবিধানের ৩২৪ নং ধারা প্রয়োগ করে যে ভাবে ২৪ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ করা হল, তাতেই সেটা বোঝা যায়। এদিন মোদি সভা করছেন মথুরাপুরে। আর সেই সভার জবাব যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না দিতে পারেন, তার জন্যই এই ব্যবস্থা। নির্বাচন কমিশন মোদি, অমিত শাহর তোতাপাখি। তাঁরা যা বলছেন, তাই করছে। মোদি, অমিত শাহকে বাংলার পরিযায়ী পাখি বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শীতে চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন দেশ থেকে আসে পরিযায়ী পাখিরা। গ্রীষ্মকাল আসলেই আবার যে–যার মতো নিজের দেশে ফিরে যায়। ভোট এসেছে, তাই এখন বিভিন্ন নেতানেত্রী, প্রার্থীদের আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। তাঁরাও আসছেন। ভোট চলে গেলে, এঁরাও চিড়িয়াখানার পরিযায়ী পাখিদের মতো চলে যাবেন। আপনাদের সঙ্গে থাকবেন শুধু মমতা ব্যানার্জি। তাই কোনও পরিযায়ী প্রার্থীকে ভোট নয়।